আরও বিপাকে তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। ফ্ল্যাট প্রতারণা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ
করে সন্তুষ্ট হয়নি ইডি। তার কাছ থেকে আরও নথি চাওয়া হয়েছে। তিনি সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার
প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন।
প্রসঙ্গত ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষের যে অডিট
রিপোর্টে নুসরত জাহানের সই রয়েছে। নুসরতের উপস্থিতিতে বোর্ড মিটিংয়ে ব্যাঙ্ক
কর্মীদের জমি বন্ধক দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও ইডি সূত্রে খবর। এই মর্মে
তাঁকে ১২ সেপ্টেম্বর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তাঁকে বেশ কিছু নথিপত্র নিয়ে আসতে
বলা হয়েছিল। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে ঐ সংস্থায় তার কি ভূমিকা ছিল সেই বিষয়ে পুংখানুপুঙ্খ জানতে চেয়েছিল ইডি।
কিন্তু তদন্তের স্বার্থে নুসরত যে সমস্ত নথি দিয়েছিলেন তাতে ধোঁয়াশা কিছুতেই কাটছে
না। তার জন্যই আরও নথিপত্র চাওয়া হয়েছে তার কাছ থেকে।
নুসরত জাহান আগেই দাবি করেছেন,
এই সংস্থার স্বাধীন ডিরেক্টর পদে ছিলেন তিনি। ওই সংস্থা কী ব্যবসা করে, কাদের সঙ্গে ব্যবসা করে,
ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠনের সঙ্গে কী চুক্তি
হয়েছিল, কিছুই জানেন না তিনি। ওই
সংস্থা থেকে তিনি নাকি কোনও আর্থিক সুবিধাও নেননি। শুধুমাত্র
একবার ঋণ নিয়েছিলেন, তাও শোধ করে দেন।
তবে তিনি নিজে যে সংস্থার ডিরেক্টর সেই সংস্থা থেকেই ঋণ নিলেন কেন সেই রহস্যের
সমাধান নুসরত এখনও করেনই। এবং কোন সুবিধে ছাড়া টলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী সংস্থার
সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেলেন এই যুক্তি অনেকেই হজম করতে পাছেন না। যেখানে ঋণের সুদের পরিমাণ বাজারমূল্যের তুলনায় খুবই
কম সেখানে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধি হয়ে যেখানে জনগনের টাকা প্রতারণা
করার অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি থানার দোরগোড়া থেকে আদালত চত্বরে পৌঁছল। সেখানে মানবতাবাদী
অভিনেত্রী এবং জনপ্রতিনিধি সেই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য আজ অবধি কিছু করলেন না
কেন উঠছে প্রশ্ন।