নিউজ ডেস্ক: সংবিধানের প্রস্তাবনার ‘মূল সংস্করণ’ তুলে দেওয়া হয়েছে সাংসদদের হাতে। ‘সেকুলার’ ও ‘সোশালিস্ট’ শব্দ নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের জবাবে এবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল। তাঁর কথায়, “সংবিধান রচনার সময় ‘সমাজতান্ত্রিক’ ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দগুলি ছিল না। ১৯৭৬ সালে সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।”
মঙ্গলবার নতুন সংসদ ভবনে প্রথমবার অধিবেশন শুরুর আগে সাংসদদের বিশেষ উপহার দেওয়া হয়। সেখানেই ছিল সংবিধানের কপি। বুধবার কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, সংবিধানের সেই প্রস্তাবনা থেকে ‘সেকুলার’ ও ‘সোশালিস্ট’ শব্দ দুটি মুছে ফেলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অধীর বলেন, “আমি যখন সংবিধান পড়ছিলাম তখন এই দুটো শব্দ খুঁজে পাইনি। পরে নিজে থেকেই জুড়ে দিয়েছি এই দুই শব্দ। ১৯৭৬ সালে তো সংশোধন করে শব্দগুলি যোগ করা হয়েছিল। এই আচরণ থেকেই বোঝা যায়, বর্তমানে সংকটে পড়েছে সংবিধান।” তাঁর অভিযোগ, “ইচ্ছাকৃতভাবে সংবিধান পালটে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
কংগ্রেস সাংসদের এই অভিযোগের জবাব দিতে আসরে নামেন বিজেপির আর এক সাংসদ সুশীল মোদী। তিনি বলেন, “আমরা তো একবারও বলিনি যে এটা সংবিধানের সংশোধিত কপি। প্রথম সংবিধানের কপিতে এই শব্দগুলো ছিল না। তাছাড়া বর্তমান সমাজে কী সোশালিস্ট শব্দটির কোনও গুরুত্ব রয়েছে? অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।”