নিউজ ডেস্ক: ভোটাভুটির মাধ্যমে লোকসভায় পাশ হল মহিলা সংরক্ষণ বিল। ৪৫৪-২ ভোটে পাশ হল এই বিল। বুধবার শাসক দলের হয়ে বিলের পক্ষে সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, স্মৃতি ইরানিরা। অন্যদিকে, বিরোধীদের তরফ থেকে এদিন প্রথম বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তবে শাসক বিরোধী উভয় পক্ষের বেশিরভাগ দল এদিন এই বিলের সমর্থনে ছিলেন। বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেন এআইএমআইএম(AIMIM)-এর দুই সাংসদ।
তৃণমূল, কংগ্রেস সহ অন্য বিরোধীদল এই বিলের পক্ষে থাকলেও কবে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে শাসক শিবিরকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, ডিলিমিটেশন হওয়ার পর ২০২৬ সাল থেকে দেশ জুড়ে এই আইন লাগু হবে।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটবে এই বিশেষ অধিবেশনে। অনেকেই মনে করছিলেন ‘নারীশক্তি বন্দন অধিনিয়ম’ কিংবা সহজ ভাষায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পর্বতের মুষিক প্রসব। কিন্তু দিনের শেষে দেখা গেল বাস্তবে এই বিল ছিল ঐতিহাসিক। কারণ যে বিল রাজীব গান্ধী, নরসিংহ রাও, দেবেগৌড়া, অটল বিহারী বাজপেয়ীর মত প্রবাদপ্রতিম রাজনীতিবিদরা কালঘাম ছুটিয়েও পাশ করাতে পারেননি তা হাসতে হাসতে পাশ করাল কেন্দ্রের বর্তমান শাসক দল। এমন প্রেক্ষাপটে এই বিল আনা হল যেখানে এই বিলের বিরোধিতা করা মানে ৫০ শতাংশ জনতাকে অখুশি করার মত একটা বড় রাজনৈতিক ঝুঁকি থেকে যায়। অন্যদিকে নতুন সংসদ ভবনে এই প্রথম কোন বিল পাশ হল। সব মিলিয়ে বাস্তবেই ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটল এদিনের নয়া সংসদ ভবনে।