নিউজ ডেস্ক: নিজের বর্ধিত বেতন মহার্ঘ্য ভাতার আন্দোলনকারীদের সংগঠনকে
অনুদান দেবেন বলে ঘোষণা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে চাকরি নেই, সরকারী
কর্মচারীরা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। এই অবস্থায় তিনি
তাঁর বর্ধিত বেতন তিনি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চেকে দেবেন। বর্ধিত বেতন বিজেপি বিধায়করা নেবেন
না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু আইনত তা করা যায় না। বিধায়কদের অ্যাকাউন্টে তাদের
প্রাপ্য বেতন পাঠায় ট্রেজারি।
বুধবার বিকেলে শহিদ মিনারে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে
যান বিরোধী দলনেতা। সেখানে তিনি যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ ও অন্য আন্দোলনকারীদের
সঙ্গে কথা বলেন। বিরোধী দলনেতা তাঁর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেন, “আমার প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ নেই। সরকার আমায় টাকা
পাঠিয়ে দেয়। আমি আমার চেক এঁদের পাঠিয়ে দেব। আমি বলব, আপনাদের লড়াই আপনাদের মতো করে
করুন। আমার এই অর্থ আপনারা পারলে আইনি লড়াইয়ের জন্য আইনজীবীদের দিয়ে দেবেন।’’
রাজ্যে কী ভাবে দুর্নীতি চলছে, কী ভাবে সরকারি আয়ে ফাঁকি
দেওয়া চলছে, সেই সব প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য সরকারকে এ দিন
নিশানাও করেছেন বিরোধী দলনেতা।
বিধায়কদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্তের আগেই
সমালোচনা করেছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। এই নিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে বলা
হয়,
‘পুজোর আগে কেন্দ্র সরকার বেতন দেবে। কিন্তু রাজ্য সরকার তাদের
সিদ্ধান্ত জানায়নি’। প্রসঙ্গত দীর্ঘ দিন ধরে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ প্রাপ্য মহার্ঘ্য
ভাতার জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার দাবির তুলনায় অনেক কম মহার্ঘ্য ভাতা
দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে বলে সরকারের সঙ্গে সরকারী কর্মাচারীদের একটা বড় অংশের
সংঘাত তৈরি হচ্ছে। মহার্ঘ্য ভাতার আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে বিজেপি। তাদের দাবিকে
ন্যায্য ঘোষণা করেছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী এর আগেও বেশ কয়েকবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের
ধরনা মঞ্চে গিয়ে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। এমতাবস্থার বিরোধী দলনেতার এই সিদ্ধান্তে
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকে ফের শিরোনামে নিয়ে এল।