নিউজ ডেস্ক: ২২ সেপ্টেম্বর ঘুম ভেঙে ওঠার কথা চন্দ্রযান-৩ প্রজেক্টের। ইতিমধ্যেই শিব শক্তি পয়েন্টে দেখা মিলেছে হালকা রোদের। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই রোভার প্রজ্ঞান আর ল্যান্ডার বিক্রমের ঘুম ভাঙানোর তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে ISRO। তবে দীর্ঘ এক পক্ষকাল ধরে মাইনাস ১৭০ থেকে মাইনাস ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভয়াবহ ঠান্ডার মধ্যে থাকার পর কতটা সাড়া দেবে এই দুই গ্যাজেট, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। তবুও আশা জাগাচ্ছেন ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
উল্লেখ্য, চাঁদে রাত নামার ২ দিন আগে থেকেই রোভার আর ল্যান্ডারে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পৌঁছনো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ৪ সেপ্টেম্বরই চন্দ্রযান-৩ মিশনকে স্লিপ মোডে পাঠিয়ে দেন বিজ্ঞানীরা। আপাতত হাড়কাঁপানো ঠান্ডা সহ্য করার পর কেমন রয়েছে বিক্রম আর প্রজ্ঞানের কলকব্জা, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে ISRO। ইসরোর স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর নীলেশ দেসাই অবশ্য আশাহত হতে নারাজ। একটি বার্তায় তিনি জানান,’২০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ধীরে ধীরে চাঁদে আবার সূর্যালোক পড়তে শুরু করেছে। আমাদের আশা ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্য সোলার প্যানেলগুলি চার্জ হয়ে যাবে। সফল হলে আমরা আবার ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হব।’
প্রসঙ্গত, আমাদের প্রতিনিধিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সোমনাথ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন,’মাইনাস ২০০ ডিগ্রির ঠান্ডায় থাকার পর রোভার আর ল্যান্ডার ফের জেগে উঠবে কিনা তা নির্ভর করবে যন্ত্রে পর্যাপ্ত চার্জ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে কিনা তার উপর। বিক্রম আর প্রজ্ঞানকে পাঠানোর সময় ফুল চার্জ দিয়েই পাঠানো হয়েছিল। এই কারণে ফের সূর্যের সংস্পর্শে তারা না আসা পর্যন্ত বলা মুশকিল ঘুম ভাঙানো যাবে কিনা। তবে সূর্য উঠলেই হবে না, একটি সুনির্দিষ্ট কোণে সূর্যালোককে চাঁদের পিঠে পড়তে হবে।’ তবে তিনি এও বলেন, ঘুম না ভাঙলেও মিশন চন্দ্রযান-৩ ১০০% সফল অভিযান হিসেবেই ইতিহাস করবে। কারণ ISRO এই মিশনকে ১৪ দিনের জন্যই পাঠিয়েছিল। তাই এরপর ফের মিশন কাজ করতে সক্ষম হলে তা আমদের উপরিপাওনা।