নিউজ ডেস্ক: নদিয়া জেলার নবদ্বীপে তৈরি হচ্ছে চল্লিশ ফুট উঁচু শিব মূর্তি। শিবের আদি যোগীর ভঙ্গিমার মুর্তি পাড়ি দেবে ত্রিপুরায়। শহরের কপালীপাড়া এলাকায় মৃৎশিল্পী গৌতম পাল ও
তার পনেরো জন সহযোগী শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় তৈরী হচ্ছে এই
মূর্তি। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আদিযোগী শিব মূর্তি ৩৪ মিটার লম্বা, ৪৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ২৫-মিটার প্রস্থের
ইস্পাতের তৈরি একটি শিব মূর্তি যা তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের থিরুনামে
অবস্থিত। বিশ্বের “সৰ্ববৃহৎ আবক্ষ
ভাস্কর্য” হিসাবে স্বীকৃতি পায় গিনেস রেকর্ডে। বাঙালি শিল্পীদের তৈরি
এই আদিযোগী শিবমুর্তি ত্রিপুরার সবচেয়ে বড় শিবমুর্তি হতে চলেছে।
শিল্পী গৌতম পাল জানান তাঁরা বংশ
পরম্পরায় এই পেশায় আছেন। অতীতে বাংলাদেশ সহ ভিন রাজ্য তার
নিপুন শিল্প কলায় ফুটিয়ে তোলা বিভিন্ন দেব দেবীর মূর্তি পাঠিয়েছেন। তবে এরূপ বৃহৎ আর আদি যোগীর মূর্তি
এই প্রথম বার তৈরি করছেন যা ভিন রাজ্যে পাড়ি দেবে। তিনি বলেন, “প্রায় দু
মাস সময় লেগেছে এই মূর্তি তৈরি করতে”। নবদ্বীপ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মোট পনেরো
জন মৃৎশিল্পী কারিগর এর জন্য টানা কাজ
করে চলেছে”। প্রথমে বাশের কাঠামো তৈরি করে পরে তাতে দরমা
ও মাটি ব্যাবহার দেওয়া হয়েছে। এর
পর প্লাস্টার প্যারিস দিয়ে শেষ পর্যায়ের কাজ
হবে। কয়েকটি খন্ডে করে মুর্তি
তৈরী করা হচ্ছে যাতে ভিনরাজ্যে পাঠাতে সুবিধা হয়। বাকি কাজ ত্রিপুরাতে
মন্ডপে করা হবে। আগামী সপ্তাহে ত্রিপুরা পাড়ি দেবে এই
মুর্তি।
নবদ্বীপ থেকে ভিনরাজ্যের এত বড় বরাত কিভাবে? প্রশ্নের উত্তরে শিল্পী জানান, নবদ্বীপের
জনৈক প্যান্ডেল ব্যাবসায়ী কমল সাধুখাঁ। তিনি
ত্রিপুরাতে এবছর একটি পুজো মন্ডপ তৈরী করছেন তামিল নাড়ুর কোয়েম্বাটুরের থিরুনামে
আদি যোগীর আদলে। আর তার মাধ্যমেই তিনি এই
কাজের বরাত পেয়েছেন।