নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ঘিরে রয়েছেন মহিলা সাংসদেরা। প্রধানমন্ত্রীর মতো অন্য সাংসদেরাও ভিক্টরি সাইন দেখাচ্ছেন। সংসদের বাইরে তোলা এই ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুক্রবার পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবির সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়মের মাধ্যমে আরও উজ্জ্বল হবে ভারতের ভবিষ্যৎ’। পাশাপাশি দলীয় সাংসদদের ‘পরিবর্তন মশাল’ বলেও অভিহিত করেন তিনি।
লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়েছে নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম। হাসি মুখে প্রধানমন্ত্রীর ছবি কার্যত জয় হিসেবেই দেখছে গেরুয়া শিবির। কবে মহিলাদের জন্য তেত্রিশ শতাংশ আসন সংরক্ষণ চালু করা যাবে তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও রাজ্যসভায় কার্যত বিনা বাধায় বিলটি পাশ হয়েছে। লোকসভায় এআইএমআইএম-এর দুই সাংসদ বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যসভায় বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ২১৪টি। বিপক্ষে কোনও ভোট পড়েনি। এভাবে সমর্থন জানানোর জন্য বিরোধীদের ধন্যবাদ জানান মোদী।
তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “গণতান্ত্রিক দেশের উন্নতিতে একটা দারুণ সুন্দর মুহূর্ত। ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে অভিনন্দন। বিরোধীদের এই সমর্থনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বিলটি আইনে পরিণত হলে আমাদের দেশের নারীর ক্ষমতা বেড়ে যাবে। সেইসব নারীদের শ্রদ্ধা, যাঁরা আমাদের দেশের জন্য আত্মবলিদানের নিদর্শন রেখেছেন।” বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়েও মোদীকে সংবর্ধনা জানান মহিলা কর্মীরা।
সংসদের দুই কক্ষে ঐতিহাসিক বিলের পক্ষে ভোট দিলেও মোদী সরকারকে কটাক্ষ করা থেকে বিরত নেই কংগ্রেস। শুক্রবার বিশেষ অধিবেশন শেষ হতে না হতেই দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। প্রশ্ন করেন, “পাশ হয়ে গেলেও মহিলা সংরক্ষণ বিলকে কেন এখনই আইনে পরিণত করছে না মোদী সরকার? কেন্দ্রের শীর্ষ আধিকারিকদের ৯০ জনের মধ্যে ওবিসি ৩ জন কেন?” রাহুলের অভিযোগ, ওবিসি জনগণনা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য পাশ করানো হয়েছে এই বিল।
প্রসঙ্গত বিল নিয়ে লোকসভা ও রাজ্যসভায় আলোচনার সময় কেন্দ্রের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, জনগণনা ও সীমানা পুনর্বিন্যাস না হওয়া পর্যন্ত বিলটিকে আইনিভাবে লাগু করা সম্ভব নয়। সেইসঙ্গে বিজেপির তরফে জেপি নাড্ডা জানান, দলের ৩০৩ জন সাংসদের মধ্যে ৮৫ জন ওবিসি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজেই একজন ওবিসি। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।