নিউজ ডেস্ক: বাঙালির ইলিশ-যোগ বরাবরই নিবিড়। আর যদি তা হয় পদ্মার, তাহলে ত কথাই নেই! কিন্তু ইলিশ নিয়ে এপার বাংলার জন্য একইসঙ্গে এল সুসংবাদ ও দুঃসংবাদ দুইই। বহু প্রতীক্ষার পর বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রপ্তানি করা হলেও তাতে লাগাম পরাল হাসিনা সরকার। একদিকে, শুক্রবার সকাল থেকেই হাওড়ার পাইকারি বাজারে আসা শুরু হয়েছে ট্রাক ভর্তি টন টন ইলিশ। অন্যদিকে সূত্রের খবর, ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। এই কারণে খুব শীঘ্রই ফের বন্ধ হয়ে যাবে এই রফতানি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পেট্রাপোল পেরিয়ে ৪০ টন ইলিশ রপ্তানি হয় ভারতে। শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতা-হাওড়ার পাইকারি বাজারে কেনাবেচা শুরু হলেও হাসি ফোটেনি মধ্যবিত্তের মুখে। কেজি প্রতি ১৫০০-র আশেপাশে টাকা দাম হওয়ায় আপাতত মন্দাই যাচ্ছে পদ্মার ইলিশে। তবে ইলিশের দাম কি কমার সম্ভাবনা রয়েছে? এই নিয়ে বাংলাদেশের একটি ফিস প্রসেসিং কোম্পানির ম্যানেজার মহম্মদ জাহিদ হাসান বলেন, এবার বাংলাদেশে ইলিশের আমদানিও কম হয়েছে। এই কারণে দাম আপাতত বেশি রয়েছে।
এদিকে প্রাথমিকভাবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এপার বাংলায় ৩৯৫০ টন ইলিশ রফতানির কথা জানানো হলেও আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ। ডিম পাড়ার মরসুম এলে জারি হয় এই নিষেধাজ্ঞা। ২২ দিনের জন্য জারি করা এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ১১ অক্টোবরই শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ইলিশ রপ্তানির মেয়াদ। যার ফলে এবার দুর্গাপুজোয় বাঙালির পাতে ওঠার তেমন সুযোগ নেই পদ্মার ইলিশের। ফিসার্স এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদের বক্তব্য, মাত্র ৪০ দিনে ৩৯৫০ টন ইলিশ পাঠানো কার্যত অসম্ভব। ৮০০ থেকে ১০০০ টনের বেশি ইলিশ আসার সম্ভাবনা নেই বলে দাবি তাঁর।
পদ্মার ইলিশের আমদানি শুরু হয়ে গিয়েছে ঠিকই। তবে হাতে গোনা সপ্তাহ তিনেকের ভিতরে মধ্যবিত্তের নাগালে দাম নামবে কিনা, তা নিয়ে থেকেই যাচ্ছে সংশয়।