নিউজ
ডেস্ক: স্বস্তি পাচ্ছেন মণিপুরবাসীরা। ফিরেছে ইন্টারনেট পরিষেবা। শনিবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী
বীরেন সিং ঘোষণা করেন যে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে হিংসার পরিমণ্ডলে ঘেরা মণিপুরে সম্পূর্ণরূপে
পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হল ইন্টারনেট পরিষেবা। একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী
বলেন, ‘এর আগে মণিপুরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেছিল রাজ্য সরকার।
আজ থেকে সম্পূর্ণরূপে সাধারণ মানুষের জন্য সেই পরিষেবা ফের চালু হয়ে গেল।’
এর আগে
২৫ জুলাই আংশিকভাবে চালু হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। কিছু নির্দিষ্ট সংগঠন স্বরাষ্ট্র
দপ্তরের অনুমতিক্রমে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু হয়েছিল মণিপুরে। এবার তা সকলের জন্য।
সর্বসাধারণ এবার সেই পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবে। মে মাসে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি সম্প্রদায়
এবং সংখ্যালঘু কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘাত চরমে ওঠে, হিংসার আবহ তৈরি হয় মণিপুর
জুড়ে। রাজ্য সরকার বাধ্য হয়েছিল হিংসা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইন্টারনেট পরিষেবা
বন্ধ করতে।
গত শনিবার সশস্ত্র পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। আগ্নেয়াস্ত্র ও সেনার পোশাক
নিজেদের কাছে রাখার অপরাধে আটক করা হয় তাদের। এর পর থেকেই মণিপুরের নানা প্রান্তে
ক্ষোভ বাড়তে থাকে। পোরমপট থানায় প্রতিবাদ দেখাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান
বিক্ষোভকারীরা। জমায়েত নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এর
জেরে কয়েকজন বিক্ষোভকারী এবং র্যাফের জওয়ান আহত হন। ধৃতদের মুক্তির দাবিতে
রাজ্যজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দেয় মেইরা পাইবি-সহ স্থানীয় পাঁচটি ক্লাব। গত
সোমবার ইম্ফল ইস্ট, ইম্ফল ওয়েস্ট, খুরাই, কংবা, বিষ্ণুপুর, থাউবলের মতো এলাকায়
প্রতিবাদ দেখান মেতেই মহিলারা। রাস্তা অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ।
এই ঘটনার
জেরে শুক্রবার সকালে ইম্ফলের বিশেষ আদালতে ওই অভিযুক্তদের জামিন
দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের মধ্যে একজনকে ফের গ্রেপ্তার করে নিরাপত্তাবাহিনী।
জামিনে মুক্ত চারজনকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হলেও মইরংথাম আনন্দ নামে একজনকে
ফের হেফাজতে নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে,
আনন্দ
‘নিষিদ্ধ পিপলস লিবারেশন আর্মি’র সদস্য ছিলেন। এর পরই ইম্ফল ওয়েস্টে বিক্ষোভ
দেখাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ দেখানো হয়।
উন্মুক্ত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। সংঘর্ষে
আহত হয় ১৫ জন।