নিউজ ডেস্ক: নিম্নচাপের জেরে টানা দুদিনের বৃষ্টিতে জলের তলায়
চলে গেল গন্ধেশ্বরী নদীর মানকানালি সেতু। বাঁকুড়া থেকে মানকানালি পর্যন্ত যাওয়ার
জন্য সংযোগকারী রাস্তার তৈরি সেতু এটি। শুক্রবার রাত থেকে সেতুর উপর দিয়ে তিন থেকে চার ফুট উচ্চতায় প্রবল বেগে জল বইতে
শুরু করে। এর ফলে ওই সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে
মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা।
নিম্নচাপের জেরে গত বুধবার থেকে বাঁকুড়ায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দফায়
দফায় সেই বৃষ্টিতেই বাড়তে শুরু করে গন্ধেশ্বরী নদীর জলস্তর । শুক্রবার বিকালের ভারী বৃষ্টিতে গন্ধেশ্বরী ফুঁসতে শুরু করে। মানকানালির কাছে
বাঁকুড়া মানকানালি সড়কের উপর থাকা সেতুর উপর দিয়ে জোরালো বেগে
বইতে থাকে জল। আজ সকাল থেকে ওই সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
বন্ধ হয়ে যায় ওই সেতুর উপর দিয়ে বাস চলাচল। এর জেরে বাঁকুড়া সদর শহর থেকে
বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ টি গ্রাম। এই গ্রামগুলির মানুষ দৈনন্দিন
প্র্যোজনের জন্য নির্ভরশীল বাঁকুড়া সদর শহরের উপর। কিন্তু সেতু জলের
তলায় চলে যাওয়ায় এখন চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বাঁকুড়া শহরে যাওয়ার বিকল্প রাস্তা প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরপথ হওয়ায় নিতান্ত
প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডুবে থাকা সেতু দিয়েই পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছেন
স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবী বছর দুয়েক আগে গন্ধেশ্বরীর বন্যায় সেতুর
একাংশ ভেসে গেলেও পরে জেলা পরিষদ বিপুল খরচ করে সেই সেতু সংস্কার করে। কিন্তু এলাকার মানুষের দাবী মেনে উঁচু সেতু নির্মানের ব্যাপারে কোনো
উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।
