নিউজ ডেস্ক: অনুরাগীদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে রবিবার সাত পাকে বাঁধা পড়লেন আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা এবং বলি অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। চার মাস আগে আংটি বদল করেছিলেন তাঁরা। দিল্লির কপুরথালা হাউসে বসেছিল তাঁদের রোকা অনুষ্ঠান। তারপর থেকেই কবে বিয়ে করছেন এই যুগল তা নিয়ে চলছিল জোর চর্চা। এর মাঝেই বারবার দিল্লি থেকে উদয়পুর উড়ে গিয়েছিলেন এই যুগল। খোঁজ নিয়েছিলেন ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’-এর জন্য পারফেক্ট ভেন্যুর। পরে পছন্দ করেন লেক পিচোলার ধারে অবস্থিত হোটেল লীলা প্যালেস এবং পিচোলার মাঝে অবস্থিত দ্বীপের মতো হোটেল তাজ প্যালেস। রাজস্থানের উদয়পুরের এই লেক পিচোলার ধারেই চার হাত এক হয় রাঘব ও পরিণীতির।
সপ্তাহখানেক আগে থেকেই বিয়ের প্রস্তুতির শুরু হয়ে গিয়েছিল। দিল্লিতে নিজ বাসভবনে বসেছিল সুফি নাইট। বিয়ের আগে পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে উদয়পুর পৌঁছে যান রাঘব এবং পরিণীতি। উদয়পুর এয়ারপোর্ট সেজে উঠেছিল তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে। শনিবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল তাঁদের বিয়ের নানান অনুষ্ঠান। হলদি, মেহেন্দি, সংগীতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান দিয়ে সম্পূর্ণ হয় তাঁদের বিয়ে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁদের বিয়ের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। তা দেখেই আরো উৎসাহ বাড়ে অনুরাগীদের।
তবে রবিবার রাত গড়ালেও রাঘব-পরিণীতির বিয়ের ছবির দেখা পাওয়া যায়নি। ধৈর্য ধরে বসেছিলেন অনুরাগীরা। অবশেষে সোমবার সকালে প্রকাশ্যে আসে নবদম্পতির বিয়ের বেশ কিছু ছবি। ভাইরাল হওয়া কয়েকটি ছবিতে গোলাপি রঙের পোশাক এবং চূড়া হাতে দেখা গিয়েছিল পরিণীতিকে। অনেকেই মনে করেছিলেন বিয়েতে ‘বার্বি’ সেজেছিলেন পরিণীতি। কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে সোনালী আভরণে ধরা দেন তিনি। মনীশ মালহোত্রার ডিজাইন করা সোনালি রঙের লেহেঙ্গা-চোলিতে সেজেছিলেন তিনি। মাথায় ছিল রাঘবের নাম লেখা দোপাট্টা। রাঘবের পরণে ছিল সাদা রঙের শেরওয়ানি ও সোনালি রংয়ের পাগড়ি। পরিণীতির মিমি দিদি তাঁদের বিয়েতে উপস্থিত না থাকলেও তাঁর পথেই হেঁটেছেন তিনি তা স্পষ্ট।