নিউজ ডেস্ক:
পুজোয় নিরাপত্তা জন্য বাড়তি ড্রোন
কেনার চিন্তাভাবনা করছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট। হেরিটেজ দুর্গোৎসবের দিনগুলিতে শহরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা
নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা নিয়ে ব্লু প্রিন্ট তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে
পুলিশ। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের কাছে
একটি ড্রোন থাকলেও আরও অতিরিক্ত দুটি ড্রোন কেনার চিন্তাভাবনা করছে পুলিশ।
বাংলার দুর্গোৎসবের বিশ্বের দরবারে হেরিটেজ
স্বীকৃতি পেয়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই পাহাড় বনাঞ্চল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের
পাশাপাশি বিগত বছর গুলির তুলনায় দেশ বিদেশের পর্যটকদের মধ্যে দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র
করে বাড়তি উৎসাহ রয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে পুজোর সময়তে পর্যটক সংখ্যা
বৃদ্ধি পাবেই বলে মনে করা হচ্ছে। সে মত শিলিগুড়ি শহরে ধর্মীয় পর্যটনের দিকে নজর
আরোপ করে কলকাতার গঙ্গার ঘাটের ধাঁচে মহানন্দা সন্ধ্যা আরতির সূচনা করতে চলেছে
পুরনিগম। তারওপর জাঁকজমক
সহকারে কার্নিভ্যাল। আগেভাগেই মেয়র গৌতম দেব ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা থেকে
ক্যানিভ্যাল ঘিরে শহরের নিরাপত্তা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করতে সতর্ক করেছেন।
আরটিও-সঙ্গে সে বিষয়ে পুলিশকে বৈঠক করতেও বলা হয়েছে। ফলে সবমিলিয়ে পুজোর আনন্দ
উৎসবে শিলিগুড়ি কমিশনারেট এলাকায় নিরাপত্তা আঁটসাঁটো করতে ইতিমধ্যেই ওয়ার্ক আউট
শুরু করে দিয়েছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এবার কিছুটা আগেভাগে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের
প্রতি থানা এলাকায় পুলিশের বিশেষ টিম পুজো প্যান্ডেল গুলির পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে। নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না
পুজো কমিটিগুলির তরফে, আগমন ও প্রস্থান দ্বার এবং পরিসরে রয়েছে কিনা সে সমস্ত বিষয়গুলি খতিয়ে
দেখছে পুলিশ। শিলিগুড়ি শহরে ৩০০র বেশি বড় পুজো রয়েছে। এছাড়া ছোট পুজোগুলিও রয়েছেই। অন্যান্য বার পুজোর হাতেগোনা
কিছুদিন আগে প্যান্ডেলগুলি পর্যবেক্ষণ শুরু করে পুলিশ। পুজো প্যান্ডেলের প্রবেশ মুখ ও প্রতিমা দর্শনের
পর প্যান্ডেল থেকে বাইরে বেড়িয়ে আসার দ্বার দুটি তুলনামূলক
বড় পরিসরে তৈরি করতে বলা হয়। যাতে একসঙ্গে তিনজন প্যান্ডেলের মুখে প্রবেশ করতে পারে।
দুর্ঘটনা এড়াতেই পুজো কমিটি গুলিকে কড়াকড়ি ভাবে পুলিশের তরফেই নির্দেশিকা দেওয়া
হয়। তবে অন্যান্য বার পুজোর শুরুর হাতে গোনা কয়েকদিন আগে প্যান্ডেল পরিক্রমা
করতে গিয়ে অনেক পুজো কমিটির মন্ডপসজ্জায় পুলিশের নজরে আসে নির্দেশিকা পালন করা
হয়নি। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি
সুধাকার জানান, “সমস্যা যাতে এড়ানো যায়
সেই লক্ষ্যে এবার
আগে থেকেই প্রস্তুতির সময় সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সঠিকভাবে রয়েছে কিনা তা
খতিয়ে দেখছে থানা ভিত্তিক পুলিশের টিম। বিশেষভাবে নজর
দেওয়া হচ্ছে মন্ডপে ঢোকার প্রবেশ এবং বারিয়ে বেড়িয়ে আসার মুখে গেটের পরিসর সঠিক
রয়েছে কিনা। পাশাপাশি সমস্ত রকমের নিরাপত্তা সঠিকভাবে রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা
হচ্ছে। উৎসবের দিনগুলিতে পাশাপাশি বিসর্জনের সময় কার্নিভালে ড্রোন দিয়ে নজরদারি
চালানো হবে পুলিশ কমিশনারেটের তরফে”। জানা গেছে এবার ড্রোন সহযোগে শিলিগুড়ির শহরে নজরদারি চালাবে পুলিশ। যার ফুটেজ তৎক্ষণাৎ পৌঁছবে পুলিশের কন্ট্রোল রুমে। পাশাপাশি কন্ট্রোল রুম
আরো শক্তিশালী করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। বাড়ানো হবে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরার
সংখ্যা। অন্যদিকে সমস্ত বড় পুজো মন্ডপগুলির ওপর বিশেষ নজরদারি থাকবে পুলিশের।