নিউজ ডেস্ক: ‘জঙ্গিদের আঁতুড় ঘর হয়ে উঠেছে কানাডা’। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রসঙ্গে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে কানাডাকে কটাক্ষ করলেন শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরি।
ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সংঘাত প্রসঙ্গে সোমবার আলি বলেন, “কানাডায় নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছে বেশ কিছু সন্ত্রাসী। অথচ কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই বিস্ফোরক অভিযোগ করছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী। অবশ্য এটাই তাঁর অভ্যাস।” এরপরই তাঁর সংযোজন, “শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও এভাবেই মিথ্যা অভিযোগ করেছিল তারা। আমাদের দেশে নাকি গণহত্যা হয়েছে। সবাই জানে শ্রীলঙ্কায় এমন কোনও ঘটনা কখনওই ঘটেনি।”
ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক দ্বন্দ্বের মধ্যেই গত শুক্রবার সংসদে ইউক্রেনের এক প্রাক্তন নাৎসিকে সম্মান জানান কানাডার স্পিকার। সোমবার এই প্রসঙ্গেও জাস্টিন ট্র্যুডোর সরকারকে কটাক্ষ করেন শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “কিছুদিন আগেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালীন নাৎসিদের সঙ্গে যুক্ত একজনকে সম্মান জানান ট্র্যুডো। আর এখানেই কানাডার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাই আমি ট্র্যুডোর মন্তব্যে মোটেই আশ্চর্য নই।”
প্রসঙ্গত, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার হত্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। অভিযোগ করেন, ভারতের নির্দেশেই এই হত্যা হয়েছে। সেই নিয়ে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। যদিও প্রধানমন্ত্রী ট্র্যুডোর মন্তব্যের সাপেক্ষে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি কানাডা।
এদিকে, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী হত্যা মামলায় কানাডাকে সাহায্য করার জন্য ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে আমেরিকা। এই প্রসঙ্গে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, “কানাডার প্রধানমন্ত্রীর তোলা অভিযোগে আমেরিকা খুবই উদ্বিগ্ন। বিষয়টি নিয়ে সেদেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে আমেরিকা। আমরা মনে করি, এই ঘটনা নিয়ে সঠিক তদন্ত করুক কানাডা। তদন্তে সহযোগীতার জন্য ভারতের কাছেও অনুরোধ জানানো হয়েছে।”