নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ
জেলার স্কুল পরিদর্শক অমানবিক। এই অভিযোগে পদ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে অপসারণের সুপারিশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি অন্য দফতরে চাকরি
করতে পারেন, কিন্তু ওই পদে থাকার যোগ্য নন।এক শিক্ষিকার
বদলি নিয়ে জটিলতা সংক্রান্ত মামলায় রায়দানের সময় এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে সন্তানের অসুস্থতার জন্য
বদলির আবেদন জানান মুর্শিদাবাদের বালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বনানী ঘোষ। সন্তান
অসুস্থ এই বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বাড়ির কাছে বদলি চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেননি জেলা স্কুল পরিদর্শক। জেলা স্কুল পরিদর্শকের
দাখিল করা রিপোর্টে বেজায় চটে আদালত। ৩ সপ্তাহের মধ্যে বনানী ঘোষকে বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি করার নির্দেশ
দেওয়া হয়। ৫ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। আবেদনকারী
শিক্ষিকা বনানী ঘোষের আইনজীবী উজ্জ্বল রায় জানান, “ওই শিক্ষিকার
সন্তান মাংসপেশীর বিরল রোগে আক্রান্ত। যে রোগে ধীরেধীরে
মাংসপেশী শিথিল হয়ে পড়ে, ফলে হার্ট এবং ফুসফুসের উপর তা
প্রাণঘাতী প্রভাব ফেলে। অথচ স্কুল পরিদর্শকের রিপোর্টে এই বিষয়টিই ঠিক ভাবে
উল্লিখিত নয়। যা নিয়ে বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।