নিউজ ডেস্ক:
আলিপুরদুয়ারে সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল। আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমিতির প্রায় ৫০
কোটি টাকার দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরু করছে সিবিআই। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার মহিলা
ঋণদান সমিতির আমানতকারী ও এই কেসের মামলাকারী কল্পনা দাস সরকারের বাড়িতে
আলিপুরদুয়ার থানার মহিলা পুলিশ কর্মীদের নিয়ে পৌঁছয় সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল। এবং
সুত্র ধরে তার থেকে এই কেসের তথ্য সংগ্ৰহ করছে সিবিআই। সমিতির বিভিন্ন বিষয়, আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে প্রশ্ন করেন
তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২১
হাজারের ওপর আমানতকারীদের প্রায় ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই সমিতির
চেয়ারম্যান উপাসনা সেনগুপ্ত-সহ মোট পাঁচজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর কলকাতা
হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে নতুন করে সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তের দ্বায়িত্ব দেয়
আদালত।
কেন্দ্রীয়
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২০০০ সাল থেকে এই সমবায় সমিতির শুরু হয়। এলাকার মহিলাদের ঋণ দিত এই সমিতি।
মূলত এই সমিতিতে এলাকার নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মহিলা সদস্যরাই টাকা রাখতেন।
সমবায় সমিতিতে ২১ হাজারের বেশি আমানতকারী রয়েছেন। ২০১৮-১৯ সালে এই সমবায় ঋণদান
সমিতিতে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ ওঠে। অনেক আমানতকারীর টাকা আত্মসাৎ করে নেওয়ার
অভিযোগ রয়েছে। টাকার অঙ্কটা ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
জানা গেছে এই
মামলায় তদন্ত শুরু করে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। পরে মামলা যায় সিআইডির হাতে।
সমিতির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর মামলা গড়ায় কলকাতা
হাইকোর্টে। এই মামলায় সিবিআইকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ
গঙ্গোপাধ্যায়। ওই মামলায় এফআইআর দায়ের করে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। সিবিআই তদন্ত
নিয়ে রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
স্পষ্ট সিবিআইকে জানিয়ে দেন, “আপনারা আপনাদের মত তদন্ত করুন।” এরপরই মঙ্গলবার অভিযান চালায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী
দল।