নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে শাসক দলের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি।
এবার সাত দিনব্যাপী অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করল রাজ্য
বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য মঙ্গলবার সল্টলেকের
বিজেপি দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, “একসঙ্গে আন্দোলনের নামতে
চলেছে বিজেপির ডক্টর সেল, স্বাস্থ্য পরিষেবা বিষয়ক সেল, যুব মোর্চা, টিচার সেল, মজদুর সেল ও আরও কয়েকটি সাখা সঙ্গঠন।
রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভা মিউনিসিপ্যালিটি ও স্বাস্থ্য ও উপস্বাস্থ্য
কেন্দ্রে সামনে ধরনা অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপির পক্ষ
থেকে।
প্রসঙ্গত রাজ্যের
ডেঙ্গির পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। কিন্তু
রাজ্য সরকার একেবারে উদাসীন অভিযোগ বিজেপির। রাজ্য বিধানসভার
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির একাধিক বিধায়ক মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। স্বাস্থ্য
ভবনে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বিরোধী নেতাদের। পুলিশকে কটাক্ষ
করে শুভেন্দু বলেন, “বাড়িতে গেলে ঝাঁটা খাবেন। বিজেপি সরকারে এলে আপনাদের তখনও কাজ
করতে হবে। সেটা মাথায় রেখে কাজ করবেন”। প্রসঙ্গত রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি কোভিডের আকার
নিতে চলেছে অভিযোগ করেন শুভেন্দু।
তিনি দলবল নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে ঢুকতে গেলে আটকানো হয়। মহিলা
পুলিশ প্রতিবাদীদের দিকে লেলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। শংকর ঘোষ, শুভেন্দুরা
এর প্রতিবাদ জানান। পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় তাদের। পুলিশ তাদের আটক করার কথা বললে শুভেন্দু
নিজে প্রিজন ভ্যানের কাছে চলে যান। তবে তাকে এবং তাঁর সঙ্গীদের প্রিজন ভ্যানে তোলা
হয়নি।
পরে রাজ্য
বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সল্টলেকের অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “মশা নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যর্থ হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের
চিকিৎসকদের সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। তাদের জীবন সংশয়ে রয়েছে। তারা বাস্তব পরিস্থিতি
তুলে ধরলে তাদের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এই অবস্থায় বিরোধী দলনেতা স্বাস্থ্য ভবনে গিয়েছিলেন
যাতে পরিস্থিতির সঙ্গে শাসক বিরোধী মিলে মিশে কাজ করবে। কিন্তু বিধায়কদের বাধা দেওয়া
হল। অগণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সরকারের ডেঙ্গি নিয়েন্ত্রণে ব্যর্থতার প্রতিবাদে সারা রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি নিয়ে সাত দিনব্যাপী অবস্থান বিক্ষোভ
কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পুজোর আগে ভয়াবহ চিত্র তৈরি হয়েছে। কিন্তু সরকার খেলা
মেলা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে চাইছে না”। এদিন কলকাতার পুরসভার মেয়রের বক্তব্যের
প্রতিবাদ জানান শমীক। প্রসঙ্গত মেয়র সম্প্রতি বলেন, “ নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতার অভাব
রয়েছে। পাল্টা শমীক বলেন, “মানুষের ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা চলছে। পুরসভা নমুনা সংগ্রহ
লার্ভা ধ্বংস করার চেষ্টা করলে বেশি ভাল হত। কিন্তু সরকার দায় চাপানোর খেলায় ব্যস্ত।
কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে কাজ করছে না রাজ্য সরকার ও তৃণমূল পরিচালিত বিভিন্ন
পুরসভা”।