নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি শরিক দলকে প্রথম থেকে সমান গুরুত্ব দিয়ে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি(BJP)। এআইডিএমকে(AIADMK-এর জোট ত্যাগ প্রসঙ্গে এবার এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর।
তাঁর কথায়, “একটি পরিবারের সদস্যের মতো এনডিএ জোটের প্রতিটি দলকে একসঙ্গে নিয়ে চলেছে বিজেপি। ভবিষ্যতেও এর অন্যথা হবে না। আর এই কারণেই ২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠা নিয়ে সরকার গঠন করেছে। ’২৪-এর লোকসভা নির্বাচনেও ফের সরকার গঠন করবে দল।”
সোমবার তামিলনাড়ুর প্রধান দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেন এআইএডিএমকে-র শীর্ষ নেতৃত্ব। আর তারপরই বিজেপির সঙ্গে জোট ভাঙার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে তামিলের এই দল। যদিও এর ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন দলের নেতা ডি জয়কুমার। অবশেষে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এনডিএ-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল জয়ললিতার দল। এদিন তামিলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের জেনারেল সেক্রেটরি ই কে পালানিস্বামী সাফ জানান, ‘আসন্ন নির্বাচনে পৃথক দল হিসাবে লড়াই করা হবে’। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী সিএন আন্নাদুরাই সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাইয়ের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে দলের এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে এআইএডিএমকে।
প্রসঙ্গত, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণে নিজেদের জমি শক্ত করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। গত শুক্রবার ‘হাত’ ছেড়ে এনডিএ জোটে নাম লেখায় কর্ণাটকের বর্ষীয়ান রাজনীতিক দেবেগৌড়ার দল জেডি(এস)। ফলে দাক্ষিণাত্য জয়ের লক্ষ্যের দিকে কিছুটা এগিয়ে যায় এনডিএ। এই আবহে তামিলভূমের অন্যতম প্রধান দলের এমন সিদ্ধান্তে তাল কেটে যেতে পারে বিজেপির! জল্পনা শুরু হয় জাতীয় রাজনীতিক মহলের অন্দরে।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, নতুন পরিস্থিতিতে ডিএমকে-এডিএমকে-কে বাদ দিয়ে অন্য দ্রাবিড় দলগুলিকে নিয়ে জোট করতে পারে বিজেপি। সেক্ষেত্রে বিজয়কান্তের পাশাপাশি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পন্নীরসেলভমের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অম্বুমণি রামাডসের দল পিএমকের নাম নিয়ে জল্পনা রয়েছে। আলোচনায় রয়েছে, একদা প্রয়াত জয়ললিতার ছায়াসঙ্গিনী শশীকলার ভাইপো প্রাক্তন এডিএমকে প্রধান টিটিভি দীনকরণের দল এএমএমকে-ও।