নিউজ ডেস্ক: ভারত মহাসাগরের দিকে ওঁত পেতে বসে রয়েছে চিন। চিনের স্ট্রিং ওফ পার্লস চক্রান্তকে জবাব দিতে তৈরি ভারত। মাঝেমধ্যেই গোয়েন্দা নৌজাহাজ ও সাবমেরিন পাঠিয়ে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করে ড্রাগন। চিনকে যোগ্য জবাব দিতে তৈরি ভারতের ব্লু ওয়াটার নেভি। নৌসেনাকে আরও ধারালো করতে অস্ত্রভাণ্ডারে আসতে চলেছে আরও ১৫ টি প্রিডেটর ড্রোন। যা মহাসাগরে ভারতীয় নৌসেনার তৃতীয় চোখ হিসেবে কাজ করবে। শুধু নীল জলে পাহারা নয় শত্রুকে খতম করে ওস্তাদ এই চালকবিহীন বিমান। চোখের পলকে শত্রুকে সলিল সমাধি দিতে সিদ্ধহস্ত এই ড্রোনের হেলফায়ার মিসাইল। ভারত মহাসাগরের সমগ্র এলাকার উপর কড়া নজরদারির জন্য আইএনএস রাজালি (INS Rajali) থেকে ‘প্রিডেটর ড্রোন’টিকে সম্প্রতি উড়িয়ে পরীক্ষা করেছে ভারতীয় নৌসেনা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নভেম্বরে মার্কিন সংস্থা ‘জেনারেল অ্যাটোমিকস্’ থেকে জরুরি ভিত্তিতে দুটি ঘাতক ড্রোন লিজে নিয়েছিল নৌসেনা। বুধবার তামিলনাড়ুর নৌ বিমানঘাঁটি থেকে সেই ড্রোনের শক্তি পরীক্ষা করলেন নৌসেনার ড্রোন ইউনিটের ফাস্ট ইন কমান্ড লিউটিন্যান্ট কমান্ডার বর্ষা। সেনার তিন বাহিনীর জন্য মোট ৩১টি ঘাতক ড্রোনের বরাত দিয়েছে ভারত।
প্রিডেটর সিরিজের এমকিউ-৯বি ‘সিগার্ডিয়ান ড্রোন’ ৫০ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম। একটানা ৩০ ঘণ্টায় ৪-৮ হাজার কিমি অতিক্রম করতে সক্ষম এই ড্রোন। ঘাতক এই ড্রোনের বহন ক্ষমতা সর্বোচ্চ ১৭৪৬ কেজি। ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে ড্রোনটি। সমুদ্র ও পার্বত্য অঞ্চল, যেকোনও পরিবেশে শত্রুর উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতে সক্ষম প্রিডেটর ড্রোনটি।
এখানেই শেষ নয়। বিশ্বে ঘাতক হিসাবে খ্যাত এই ড্রোনের অস্ত্রভাণ্ডারে রয়েছে মার্কিন হেলফায়ার মিসাইল। এছাড়া রয়েছে সাইডউইন্ডার ‘এয়ার-টু-এয়ার’ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ‘এয়ার-টু-গ্রাউন্ড’ মিসাইল। সেইসঙ্গে ঘাতক এই ড্রোনে রয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গাইডেড বোমা জিবিইউ-৩৮(GBU-38)।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে মার্কিন সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় মার্কিন সংস্থা জেনারেল অ্যাটোমিকস্(General Atomics)-এর সঙ্গে ৩১টি ঘাতক ড্রোন কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত। চুক্তি অনুযায়ী, ১৫টি ড্রোন পাবে ভারতীয় নৌসেনা। বায়ুসেনা ও সেনা পাবে ৮টি করে মোট ১৬টি ড্রোন।