নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের শেষে সম্পন্ন হয়ে যাবে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। পুজো হবে ২২ জানুয়ারি। ২৪ জানুয়ারি ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দ্বার। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এমনটাই জানালেন মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র।
নৃপেন্দ্র বলেন, “মন্দিরের নিচতলার নির্মাণকাজ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা ছিল। আর সেই মতোই কাজ এগিয়ে চলেছে।” তিনি জানান, এই মুহূর্তে মন্দিরের চূড়ায় একটি যন্ত্রম স্থাপন করা হবে। আপাতত তার ডিজাইনিং এবং তৈরির কাজ চলছে বেঙ্গালুরুতে। সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, রুরকি এবং পুনের একটি ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এর জন্য একটি কম্পিউটারাইজড প্রোগ্রাম তৈরি করেছে।
অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতির তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই জানিয়েছেন নৃপেন্দ্র। তাঁর কথায়, “রাম লালার অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে ২০-২৪ জানুয়ারির মধ্যে যেকোনও দিনে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’র অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।”
১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির পরে রাম লালার বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু করবে মন্দির নির্মাণ কমিটি। আর তার জন্য হিন্দু রীতি মেনে ১০ দিনের আচার, পুজোপাঠ চলবে। এরপর ২৪ জানুয়ারি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দ্বার।
উল্লেখ্য, মোট ৮ একরের উপর তৈরি হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম রাম মন্দির। যার দৈর্ঘ্য ৩৮০ ফুট এবং প্রস্থ ২৫০ ফুট। মন্দিরের উচ্চতা ১৬১ ফুট। ৩৯২টি স্তম্ভ ধরে রাখবে বিশাল এই মন্দিরটিকে। খাঁটি সেগুন খাট দিয়ে তৈরি হচ্ছে মন্দিরের ৪৬টি দরজা। গর্ভগৃহের দরজা হবে স্বর্ণখচিত। মন্দির কমিটির চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী, “মন্দিরটি অন্তত ১০০০ বছর অক্ষত ত্থাকবে। এমন ভাবনা নিয়েই এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।”