নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় একই মিছিলে হাঁটতে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারী ও কৌস্তভ বাগচীকে। গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে দিয়ে হাঁটলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস নেতা।হাতে ছিল প্যাকার্ড যার একপাশে মমতার হাসি মুখের ছবি যার উপরে লেখা ‘আই লাফ’ (I laugh) অন্য পাশে চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ টেনে নিয়ে যাওয়ার ছবি যার নীচে লেখা ‘উই ডাই’ (We die) । সেই মিছিল থেকেই চাকরিপ্রার্থীদের এক জোট হয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নিয়োগের দাবিতে ক্যামাক স্ট্রিট ও থিয়েটার রোডের সংযোগস্থল থেকে শুরু হয় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল। অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়ে ওই মিছিল যাওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। তারপরই মিছিলে পাশাপাশি হাঁটতে দেখা গেল শুভেন্দু ও কৌস্তভকে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিভাবকেরাও ওই মিছিলে সামিল হয়েছিলেন।
নিজাম প্যালেসের কাছে শুভেন্দু সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিরোধী দলনেতা বলেন, “নবান্ন চলুন।এক লক্ষ লোক নিয়ে চলুন নবান্নতে। এতো লোক করে দিন যেন পুলিশের গুলি ফুরিয়ে যায়। পতাকা ফেলে সবাইকে ডাক দিন। ১০টা সংগঠন জোট বেঁধে তৈরি হন। আমি আসব”। কৌস্তভ বাগচীও এদিন বলেছেন, “সবাইকে এক ছাতার তলায় এনে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত করে নবান্ন বা কালীঘাট অভিযান করব”। শুভেন্দু চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “ভবিষ্যতেও এদের লড়াইতে রাস্তায় থাকব। আইনি লড়াইয়ে থাকব। বিধানসভাতেও এদের দাবি নিয়ে সরব হব”।
চাকরিপ্রার্থীদের ক্যামাক স্ট্রিট দিয়ে মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। আদালত অনুমতি দেওয়ায় মিছিল ওই পথে যায়। এনিয়ে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “ক্যামাক স্ট্রিটি, কালীঘাটে মিছিল, জমায়েতে অনুমতি দেয় না। যেন ওদের বাপ-ঠাকুরদা রাস্তা বানিয়েছে। জমিদারি শুরু করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার পরিবার পুলিশের উপর নির্ভর করে আছে। মমতা ব্যানার্জি ও তার পরিবার পুলিশের উপর নির্ভর করে আছে”।