নিউজ ডেস্ক: বাইরে
যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পাকিস্তানের সিন্ধি এবং পশতুনরা সেই সময় জাতিসংঘের ভিতরে পাকিস্তানের
মুখোশ খুলে দিলেন সে দেশের সমাজকর্মীরা। তাদের দাবি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের যুবকদের জঙ্গী
হতে বাধ্য করছে প্রশাসন। তাদের কথা না শুনলে কগুন জখম গুম করে দেওয়া রোজকার ঘটনা। তাঁর
ওপর খাদ্য সংকট। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ আটা ডাল ও জরুরী সামগ্রীর জন্য সমতলের
উপর নির্ভরশীল। কিন্তু পাকিস্তান অর্থের বিনময়েও তাদের খাদ্য সামগ্রী দিতে নারাজ। নেই
বদ্যুত নেই জল। জাতিসংঘে অমানবিক পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিলেন পাক অধকৃত কাশ্মীরের
বাসিন্দা প্রোফেসর ন্যাশনাল ইকোয়ালিটি পার্টির চেয়ারম্যান প্রফেসর সাজ্জাদ
রাজা এবং পশতুন তহফুজ মুভমেন্টের সদস্য ফজল খান । সাজ্জাদ বলেন ,”পাকিস্তান আমাদের না খাইয়ে মারতে চাইছে। আমাদের খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছে না অথচ আমাদের এখান থেকে সম্পদ লুঠ করে যাচ্ছে। আমাদের অঞ্চলকে আজাদ কাশ্মীর বলা হয় অথচ পাক সেনা জবরদখল করে রেখেছে ১৯৪৭ সাল থেকে যা জাতিসংঘের আদেশের পরিপন্থী। আমাদের এখানে জঙ্গী কার্যকলাপ হচ্ছে প্রশাসনের মদতে”।
জাতিসংঘের বাইরে সিন্ধি ও পশতুনরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
পাকিস্তান তাদের উপর দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চালিয়ে আসছে। পাকিস্তানে পশতুন সিন্ধি বলোচদের
উপর সেনা অত্যাচারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সিন্ধ, বলোচিস্তান, অধিকৃত কাশ্মীর এবং পশতুন
এলাকায় খনিজ সম্পদ লুঠ করছে পাকিস্তান। গিলগিট অঞ্চলের জন্য প্রয়োজন ৪০০ মাত্র মেগাওয়াট
বিদ্যুৎ। অথচ সেখানে উৎপাদন হয় ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করে
ওই অঞ্চলকে ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ হীন থাকতে হয়। তার উপর খাদ্য সঙ্কট তো রয়েইছে। বাধ্য হয়
শহরে হরতাল শুরু করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। টানা ১৮০ দিন ধরে বিক্ষোভ বন্ধ চলছে।
তাদের আরও অভিযোগ সিন্ধ, বলোচিস্তান, অধিকৃত কাশ্মীর
এবং আফগান লাগোয়া পশতুন যুবকদের জঙ্গি হতে বাধ্য করছে পাক প্রশাসন। প্রথমে যুবকদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়। যারা জঙ্গি হতে চায় না তাদের উপর
নানান ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয়। সেনার কথা না শুনলে গুম করে দেওয়া, খুন করে দেওয়া কোন বিচ্ছিন্ন
ঘটনা নয়। পরিবারের যুবকরা জঙ্গি না হতে চাইলে বাবা-মায়ের উপরেও অত্যাচার
করতে পিছপা হয়না পাক সেনা। পাকিস্তানে সেনার সঙ্গে জঙ্গি
সংগঠনের যোগ নতুন ঘটনা নয়। এমনিতেই আর্থিক সংকটে জর্জরিত
পাকিস্তান। জাতিসংঘের অন্দরে ও বাইরে
পাক প্রশাসনের মুখোশ খুলে দেওয়ায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উপর
নতুন করে চাপ সৃষ্টি হল।