নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলা দিল্লিতে স্থানান্তর
হতেই ফের সক্রিয় গরু পাচার চক্র। অভিযোগ এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী গরু পাচারের
ঘটনায় লিপ্ত রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযানে বুধবার গভীর রাতে গরু বোঝাই লরি আটক হয় জামুরিয়ায়। গাদাগদি করে ৩৮ টি গরু বোঝাই লরিতে একটি মৃত গরু উদ্ধার। ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমীরা।
এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বৃজ মোহন পাসোয়ান বলেন, ” পাচার বহুদিন বন্ধ ছিল। আবার কয়েকদিন ধরে দেখছি ট্রাকে করে গরু এদিক সেদিক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খুব খারাপ অবস্থায় একটা প্রাণী ওপর আরেকটা প্রাণী গাদাগাদি করে নিয়ে যায়। রাস্তায় অনেক পশু মারা যায়। অমানবিক কাজ চলছে। পুলিশ হাত পেতে টাকা নেয় কিন্তু গাড়িতে কি আছে তাচোখে দেখে না। আগে গরুর গাড়িতে অনেক বেআইনি জিনিস পাচার হত। এদিন সেরকম একটা গাড়ি দেখে আমরা ধরে ফেলি। কিন্তু খালাসি ড্রাইভার কথা বলার সময় হঠাৎ দৌড়ে পালিয়ে যায়”।
প্রসঙ্গত গরু পাচারের মামলা স্থানান্তরিত হয়েছে আসানসোল থেকে থেকে
দিল্লিতে। দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালতে গরু পাচার সংক্রান্ত ইডি ও সিবিআইয়ের মামলা শুরু
হয়েছে। অভিযোগ আসানসোল সিবিআই আদালত থেকে সরে যেতেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে
গরু পাচার চক্র। এরই মাঝে ৩৮ টি গরু বোঝাই বড় লরি ধরা পড়ল ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর।
জামুরিয়ার স্থানীয় মানুষজন ধরে ফেললেন সেই লরি। রাতের অন্ধকারে গরুগুলি পাচারের ছক কষা হচ্ছিল অভিযোগ স্থানীয়দের। এবারের ঘটনাস্থল আসানসোলের নিঘা। অভিযোগ নিঘার ১৯ নম্বর জাতীয়
সড়কে একটি গরু বোঝাই লরি আটক করে জামুরিয়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দিল
এলাকাবাসী।
পুলিশ গরু বোঝাই লরিটি আটক করেছে।
লরিতে ১৮ টি গরু এবং ১৩ টি বাছুর ছিল। গরু বোঝাই লরির কাগজ পত্র রয়েছে কিনা তা
খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ ওই লরির চালক এবং খালাসী পুলিশ
আসার আগেই পালিয়ে যায়। তাই কাগজপত্র ঠিকমত তাদের
হাতে আসেনি। লরিটির নম্বর পশ্চিমবাংলার। তাই ঝাড়খন্ড থেকে লরিটি ঢুকে
কোথায় যাচ্ছিল সেই নিয়ে ধন্ধে রয়েছে তারা। ওই লরিতে যেভাবে গাদাগাদি করে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাতে একটি বাছুর
মারা যায়। বেশ কয়েকটি গরু অসুস্থ বলে
অভিযোগ। রাতেই জামুরিয়া থানার শ্রীপুর এলাকা থেকে রানীগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ি
এলাকায় গরু বোঝাই ওই লরিটি নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত স্থানীয় একটি গোশালায়
গরুগুলিকে রাখা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।