নিউজ ডেস্ক: ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর বহু পরিবর্তন এসেছে কাশ্মীরে। খুলেছে স্কুল-কলেজ। এখন আর সেখানে বারবার বন্ধ হয় না ইন্টারনেট পরিষেবাও। এমনকি, দীর্ঘ কয়েকবছর পর স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে সেখানে। উত্তোলিত হয়েছে দেশের জাতীয় পতাকাও। গোলাগুলি, জঙ্গি হামলা-এর ছায়া থেকে বেরিয়ে ক্রমশ শান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে কাশ্মীর।
শান্তির পথে আরও একধাপ এগিয়ে প্রায় ৩৩ বছর পর শ্রীনগরের মহারাজ গুঞ্জ এলাকায় খুলল প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর্য সমাজ স্কুল, দয়ানন্দ আর্য বিদ্যালয়(DAV)। নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর অত্যাচারের ঘটনার পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সরফ কাদাল এলাকার এই স্কুল। ১৯৯২ সালে স্থানীয় একজন ব্যক্তি স্কুলটি দখল করে নিয়ে ‘নকশবন্দী পাবলিক স্কুল’ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। এরপর বহু সরকার ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু ফেরানো যায়নি আর্য স্কুল।
৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পর বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অবশেষে দখল মুক্ত হয়েছে স্কুলটি। ফিরেছে নিজের পুরনো গরিমায়। জম্মু-কাশ্মীর আর্য সমাজের প্রধান অরুন চৌধুরী বলেন, “১৯৯০ সালে সন্ত্রাসীদের বাড়বাড়ন্তের জন্য এলাকা ছেড়ে চলে যান বহু মানুষ। ডিএভি রাইনাওয়ারি ও ডিএভি ওয়াজির বাগ বাদে বন্ধ হয়ে যায় আর্য সমাজের সমস্ত স্কুল।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারের সাহায্যে প্রায় ৩৩ বছর পর আমরা এই ডিএভি স্কুলটি ফের চালু করেছি। পুরনো বিল্ডিংয়েই শুরু হয়েছে স্কুল।”
স্কুলে সংস্কারের কাজ এখনও চলছে। তবে তার মধ্যেই স্কুলে চলছে পঠন-পাঠন। প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণির মধ্যে ৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রী ইতিমধ্যেই নাম লিখিয়েছে স্কুল রেজিস্টারে। তারা প্রত্যেকেই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের। স্কুলের এক শিক্ষিকার মতে, “পড়ুয়াদের উচ্চমানের শিক্ষা প্রদান করাই হল আমাদের লক্ষ্য। সার্বিক বিকাশ ঘটিয়ে একজন ভালো নাগরিক হিসাবে তাদের তৈরি করার সম্পূর্ণ চেষ্টা করছি আমরা।”
স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘ তিন দশক পর ফের স্কুল চালু হওয়ায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা। সেইসঙ্গে স্কুলের পরিবেশ ও পড়াশোনা নিয়ে সন্তুষ্ট পড়ুয়ারাও।