নিউজ ডেস্ক: ফের দুঃখের খবর হ্যারি পটার ফ্যানদের জন্য। হ্য়াগ্রিডের পর এবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন হগওয়ার্টসের হেডমাস্টার ডাম্বলডোর ওরফে মাইকেল গ্যাম্বন। বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তাঁর পরিবার তাঁর মৃত্যুর খবরে শীলমোহর দেওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেন সহঅভিনেতারা-সহ অনুরাগীরাও। হলিউডে একাধিক ছবিতে কাজ করলেও তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র হল হ্যারি পটারের হেডমাস্টার ডাম্বলডোর চরিত্রটি।
জে কে রাউলিং রচিত হ্যারি পটার কাহিনিতে হ্যারি, রন, হারমায়নি ছাড়াও সবচেয়ে চর্চিত চরিত্র ছিলেন হেডমাস্টার ডাম্বলডোর এবং প্রফেসর স্নেপ। মাইকেল গ্যাম্বন মারা যাওয়ার পরে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড সসারার্স স্টোন’ বইয়ের একট উদ্ধৃতি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ডাম্বলডোর বলেছিলেন, ‘সবকিছুর পর, সুসংগঠিত মনের কাছে, মৃত্যু কিন্তু পরবর্তী বিশেষ অভিযান’। যার অর্থ ছিল সসারার্স পাথরটি ধ্বংস করে দেওয়া হলে নিকোলাস ফ্লামেল একদিন মারা যাবে। তাই মৃত্যুকে ভয় পাওয়ার মানে নেই বরং এটি এক নতুন পথচলা। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত হ্যারি পটারপ্রেমীরা।
অভিনেতার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন মাইকেল গ্যাম্বন। হাসপাতালে স্ত্রী ও পুত্রের উপস্থিতিতেই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিয়েছেন তিনি। থিয়েটার থেকেই অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন মাইকেল। জন্মসূত্রে তিনি আইরিশ। রয়্যাল ন্যাশন্যাল থিয়েটারে লরেন্স ওলিভারের সঙ্গে মাইকেলের যাত্রাপথ শুরু হয়। ‘ওথেলো’, ‘দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস’, ‘দ্য ইনসাইডার’, ‘দ্য কিংস স্পিচ’,‘দ্য উইংস অফ দ্য ডাব’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু হ্যারি পটারের ডাম্বলডোর তাঁকে এনে দেয় বিশ্বজোড়া খ্যাতি। জিতেছিলেন চারটি বাফটা পুরস্কার। ১৯৯৮ সালে ব্রিটিশ রাজপরিবারের তরফে তাঁকে ‘নাইটহুড’ উপাধিতে সম্মানিত করেছিলেন।