নিউজ ডেস্ক: ‘হিংসায় উস্কানি দেওয়া বাক স্বাধীনতা হতে পারে না’। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নাম না করে ফের কানাডাকে চাঁচাছোলা ভাষায় একহাত নিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
জি২০ সম্মেলনে ভারত সফরে এসে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতিবাদকে পরোক্ষভাবে সমর্থন জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্র্যুডো। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি সাফ বলেন, “বাকস্বাধীনতার রক্ষা, চিন্তাভাবনা ও প্রতিবাদের অধিকার সমর্থন করে কানাডা”। শনিবার ওয়াশিংটন ডিসির সাংবাদিক সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গ টেনে জয়শংকর বলেন, “ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। বাক স্বাধীনতা কী! তা আমাদের অন্য কারওর কাছে শেখার প্রয়োজন নেই। তবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে উস্কানি দেওয়া বাক স্বাধীনতা হতে পারে না।”
প্রমাণ ছাড়াই শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা খুনে ভারতের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্র্যুডো। তারপর থেকেই তুঙ্গে দু’দেশের কূটনৈতিক সংঘাত। এদিন সেই প্রসঙ্গে জয়শংকর বলেন, “বেশ কয়েকবছর ধরে কানাডার সঙ্গে আমাদের সমস্যা চলছে। তবে সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও হিংসার ঘটনাগুলিতে অনুমতি দেওয়া ছাড়া আর কোনও সমস্যা নেই। ভারতের তরফে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানো হলেও, সে দেশের তরফে অনুমতি পাওয়া যায়নি।” এরপরই বিদেশমন্ত্রীর সংযোজন, “ভিসা কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করতে হয়েছে আমাদের। আর এরজন্য তারাই আমাদের বাধ্য করেছে।”
যদিও এই প্রথম নয়। কানাডার অভিযোগের পর থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার সেদেশের জমিতে চলা ভারত বিরোধী চক্রান্তের কথা তুলে ধরেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসির হাডসন ইন্সটিটিউটে একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানে কানাডার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জয়শংকর বলেন, “সে দেশে প্রকাশ্যে ধমকানো হচ্ছে ভারতীয় কূটনীতিবিদদের। আজ দূতাবাসে যেতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আমাদের কূটনীতিকরা।”