নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বকেয়া নিয়ে দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচির মধ্যেই পাল্টা তোপ গিরিরাজ সিংয়ের। সোমবার গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে ধর্নায় বসেছিল তৃণমূল। পুলিশ তাদের একসময় সরিয়ে দেয়। অন্যদিকে এদিনই গিরিরাজ একশ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন।
এমএনরেগা প্রকল্পে ১০০ দিনের কাজে বকেয়া টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রাজ্য সরকারের। এমনকী আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক অবরোধের প্রতিবাদ জানাতে দিল্লি চলো কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো সোমবার রাজঘাটে গান্ধীর সমাধিস্থলের কাছে ধর্নায় বসে তৃণমূল সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ নেতা-কর্মীরা। কিন্তু দিল্লি পুলিশ সেখান থেকে সরে যেতে বলে। ধর্নার কারণে অন্য কেউ গান্ধীজির সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানাতে পারছিলেন না বলে জানায় দিল্লি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত গান্ধীজির সমাধিক্ষেত্রের বাইরে অশান্তি বেধে যায়। তৃণমূল অভিযোগ করে দিল্লি পুলিশ জোর জবরদস্তি করেছে। এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলনও শেষ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
তবে তৃণমূল কংগ্রেস যে কারণে দু’দিন ব্যাপী রাজধানীতে কর্মসূচি নিয়েছে। এদিন সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী। এদিন গিরিরাজ সিং বলেন, “১০০ দিনের কাজে ৫৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ইউপিএ আণলের থেকে অনেক বেশি। ২৫ লক্ষ জবকার্ডে হেরফের করা হয়েছে। অুসন্ধান কমিটির সঙ্গে সহযোগিতা করা হয়নি। এখন মনে হচ্ছে তদন্তভার সিবিআইকে দিতে হবে। ২৫ লক্ষ ভুয়ো জবকার্ড। এর তদন্ত হওয়া উচিত।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গিরিরাজ। তিনি বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি। গরিবের লুঠ করা টাকা গরিবদের ফিরিয়ে দিন। ২৫ লক্ষ ভুয়ো জবকার্ডের টাকা কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে, এটা কেন্দ্রীয় সরকার ও দেশবাসী জানতে চায়”।