নিউজ ডেস্ক: ‘জাতপাতের ভিত্তিতে দেশ ভাগের চেষ্টা চলছে’। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র থেকে নাম না করে বিরোধীদের কড়া ভাষায় জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মোদী বলেন, “তখনও ওরা দরিদ্রদের অনুভূতি নিয়ে খেলত। আজও একই খেলা খেলছে। আগেও তারা জাতির নামে দেশভাগ করেছে। আজও সেই একই পাপ করছে। আগেও ওরা দুর্নীতিতে দোষী হয়েছিল এবং আজ আরও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে।” কংগ্রেস সরকারের ছয় দশকের শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে বিজেপি সরকারের ৯ বছরের শাসন ব্যবস্থার তুলনা টেনে তিনি আরও বলেন, “গত ৬০ বছর ধরে ‘উন্নয়নের শত্রুরা’ কোনও ভালো কাজ করেনি। কিন্তু গত ৯ বছরে বিজেপি এসে প্রচুর উন্নয়ন করেছে। গোটা বিশ্ব আজ ভারতের প্রশংসা করছে। কিন্তু সেই ভালো কাজগুলোই এতদিন হয়নি কেন?” পাশাপাশি, ভোট মুখর মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মোদী বলেন, “মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রথমেই জাতির ভিত্তিতে সমীক্ষা করবে এবং ওবিসিদের সংখ্যা জানবে…।” এর ফলে ওবিসিদের সংরক্ষণ কমতে পারে বলেও আশঙ্কাবার্তা দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিহারের জাতিগত সমীক্ষার রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছে নীতীশ কুমারের সরকার। যেখানে দেখা গিয়েছে, বিহারের জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি সম্প্রদায়ের। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশ অত্যাধিক অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত। সেইসঙ্গে সাধারণ ক্যাটেগরির মধ্যে রয়েছে ১৫ শতাংশ। এছাড়াও তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন ১৯ শতাংশ।
রিপোর্ড কার্ড প্রকাশিত হওয়ার পরই এই ধরনের সমীক্ষা জরুরি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের এই সমীক্ষা করা উচিত বলে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এমনকি, কেন্দ্রের তরফে এই সমীক্ষা চালু করা উচিত বলে দাবি জানান লালু প্রসাদ যাদব। বিরোধীদের সেই দাবির উত্তরে মঙ্গলবার পাল্টা দেন প্রধানমন্ত্রী।