নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ চড়ছে ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সংঘাতের পারদ। এবার দেশ থেকে ৪০ জন কূটনীতিককে ফেরানোর জন্য অটোয়াকে নির্দেশ দিল নয়াদিল্লি। সূত্রের খবর, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যেই সরানোর বার্তা দিয়েছে দিল্লি।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে কানাডার মোট ৬২ জন কূটনীতিক রয়েছে ভারতে। অর্থাৎ ৪০ জনকে ফেরানো হলেও আরও ২১ জন কানাডিয়ান কূটনীতিক থাকবে এদেশে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, দিল্লিতে যত জন কানাডিয়ান কূটনৈতিক রয়েছেন, তার থেকে অনেক কম ভারতীয় কূটনীতিক রয়েছেন অটোয়ায়। দু’দেশের মধ্যে সমতা রাখা উচিত। আর সেকারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে।
শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার খুনের জন্য ভারত সরকারকে দায়ী করে সেদেশের পার্লামেন্টে সুর চড়ান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্র্যুডো। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই অভিযোগকে সরাসরি খারিজ করে দেয় নয়াদিল্লি। তবে এই ঘটনার পর থেকে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে শুরু হয় চাপানউতোর। ইতিমধ্যেই দুই দেশ থেকে অপর দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিদেশের মাটিতে এই বিষয়ে সুরও চড়ান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। পাল্টা রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় কানাডার বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে জয়শঙ্কর বলেন, “বাধ্যবাধকতা ছিল। আমাদের কূটনীতিক, দূতাবাসের উপরে হিংসার প্রচার করা হচ্ছিল। কী ভাবে ওঁরা দফতরে গিয়ে ভিসা দেওয়ার কাজ করবেন। এটা আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন। ভিয়েনা চুক্তির প্রশ্ন। ভিয়েনা চুক্তি অনুযায়ী আমাদের কূটনীতিক, দূতাবাসকে নিরাপত্তা দিতে হবে।”
এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির নয়া ফরমানে দু’দেশের কূটনৈতিক সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করল, তা বলাই বাহুল্য।