নিউজ ডেস্ক: পুজোর বাকি মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। এর মধ্যে শপিং চলছে দেদার। জামা-কাপড়ের পাশাপাশি সাজার জিনিসপত্র, কসমেটিকস এবং স্কিন কেয়ারের সামগ্রীও কিনছে সকলে। তবে শুধুমাত্র পুজোর কয়েকটা দিনের জন্যই নয়, সারা বছর মাত্র পাঁচটি ধাপে ত্বকের যত্ন নিলে ত্বক হবে উজ্জ্বল, ফিরবে জেল্লাও। নাকের দুপাশ ও কপাল জুড়ে তেল বেরোতে থাকে। অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণের জন্য এমনটা হয়। আবার অনেকের ব্রণ, হোয়াইটহেডস, ওপেন পোরসের সমস্যা থাকে। সমস্যা যাই হোক না কেন সমাধানে এই পাঁচটি ধাপই যথেষ্ঠ।
ক্লিনজার: ত্বক পরিস্কার করার জন্য ক্লেনজিং জরুরি। দিনে দু’বার মুখ ধোয়া দরকার। রাতে মুখ পরিষ্কার করার সময়, প্রথমে স্যালিসলিক অ্যাসিড বা বেঞ্জল পারঅক্সাইডযুক্ত ক্লিনজিং অয়েল বা বাম দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের উপর জমে থাকা সমস্ত ময়লা, তেল, মরা কোষ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
টোনার: অতিরিক্ত পরিমাণে সিবাম উৎপাদনকে কমায় টোনার। গ্লাইসোলিক অ্যাসিড বা স্যালিসিলিক অ্যাসিড , নিয়াসিনামাইড বা হাইল্যুরনিক অ্যাসিডযুক্ত টোনার বেছে নিন। মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই টোনার লাগিয়ে নিন মুখে।
সিরাম: অতিরিক্ত পরিমাণে সিবাম উৎপাদনকে কম করতে এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা দূর করার জন্য ত্বকের ট্রিটমেন্টে সিরাম ব্যাবহার করা দরকার। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী গ্লাইসোলিক অ্যাসিড বা স্যালিসিলিক অ্যাসিড , নিয়াসিনামাইড বা হাইল্যুরনিক অ্যাসিডযুক্ত সিরাম ব্যাবহার করা দরকার। ত্বকের বলিরেখা দূর করতে ও কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে রেটিনলযুক্ত সিরাম ব্যাবহার করা যায়।
ময়েশ্চারাইজার: ময়েশ্চারাইজার সব ত্বকেই প্রয়োজনীয়। ত্বক ডিহাইড্রেটেট হয়ে গেলে সিবাম তৈরি হয় ত্বককে হাইড্রেট করার জন্য। তাই ত্বকের যত্নে অন্যতম অঙ্গ হল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা।
সানস্ক্রিন: ত্বকের ধরন যেমনই হোক, সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল বা ওয়াটার-বেসড সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। অয়েল-ফ্রি ফর্মুলার সানস্ক্রিনও ব্যবহার করতে পারেন। এই ৫ ধাপ নিয়মিত মেনে চললে আপনার ত্বকের তেলতেলে ভাব নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ব্রণ, হোয়াইটহেডসের সমস্যাও কমবে।