নিউজ ডেস্ক: আবার ধস নামল সিকিমে। ধসের ফলে সম্পূর্ণ বন্ধ ১০ নং জাতীয় সড়ক।
তিস্তা ব্রিজ থেকে সিকিম যাওয়ার পথে বেশ কিছু জায়গায় বড়
আকারের ধসের কারণে জাতীয় সড়ক নিচের দিকে বসে গিয়েছে। বুধবার দুপুর নাগাদ ২৮ মাইল
এলাকায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের রাস্তায় ধস নামে। জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গা ধীরে
ধীরে তিস্তার নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। বুধবার সকালে ২৩ জন
জওয়ানের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত এক জন জওয়ানকে
উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ওই জওয়ানের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল
বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও ২২ জন সেনা জওয়ান-সহ অন্তত ১২০ জন নিখোঁজ। নিখোঁজ
ব্যক্তির সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। বিশেষ করে পাকিয়ং জেলার রংপো, গ্যাংটক জেলার অন্তর্গত ডিকচু এবং সিংটাম এলাকা এবং মঙ্গন
জেলার চুংথাং এলাকা থেকে আহত এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও
পর্যন্ত ২৫ জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চুংথাং-সহ উত্তর সিকিমের
বেশির ভাগ এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং ব্রডব্যান্ড পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।
হড়পা বানে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে
সিকিমে। জলের তোড়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ ভেসে সিকিম কার্যত বিছিন্ন।
বৃষ্টিতে লাচেন উপত্যকার লোনক হ্রদ উপচে ওঠে। চুংথাং ড্যাম থেকে জল ছাড়ায় তিস্তার
জলস্তর প্রায় ১৫-২০ ফুট বেড়ে যায়। তিস্তার জলে ভেসে গিয়েছে সিকিম। নিখোঁজ ২৩
জওয়ান। এবার সেই তিস্তার জলেই ভেসে এল দেহ। গজলডোবা ব্যারাজে তিনটে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে
বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে দু’জন পুরুষ ও এক মহিলার দেহ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন
সূত্রে জানানো হয়েছে, একজন পুরুষ ও একজন
মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে এরা কেউ ওই এলাকার নয়। মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি।
ফলে দেহগুলি সিকিম থেকে ভেসে এসে কিনা তা খোঁজ নিয়ে দেখছে প্রশাসন। তিস্তার জল
বাড়লেও স্থানীয় কারও নিখোঁজের খবর নেই বলেই প্রশাসনের দাবি।
তিস্তায় জলস্তর বৃদ্ধির ফলে নদীর
পাড়ের গ্রামগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে নদীর পাড়ের এলাকা থেকে
মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ির
গজলডোবা ব্যারাজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হচ্ছে। এ কারণে দোমহনি থেকে হলদিবাড়ির
বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তা নদীর দুই পাড়ের গ্রাম গুলো জলমগ্ন হয়ে পরার
আশঙ্কা।