নিউজ ডেস্ক: নবদ্বীপে চিকিৎসার গাফিলততে প্রসূতি
মহিলার মৃত্যুর অভিযোগে দেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল মৃতের পরিবার। ঘটনাস্থলে পৌঁছল নবদ্বীপ থানার পুলিশ। ফের নবদ্বীপের একটি বেসরকারি
নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতি ও তাতে এক মহিলার মৃত্যর অভিযোগে উত্তাল
হল নবদ্বীপ।
জানা যায়, মৃত মহিলার নাম দীপা মিশ্র। বয়স আনুমানিক ২২ বছর। স্বামীর নাম সুরজিৎ মিশ্র।
বাড়ী – নবদ্বীপ শহরের হরিসভাপাড়া এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল ১ অক্টোবর। ৩
অক্টোবর আনুমানিক ভোর ৪ টে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। সন্তান
সম্ভবা হওয়ার কারণে গত ০১/১০/২৩ এ নবদ্বীপ
শহরে মতিরায়বাঁধ এলাকায়
একটি বেসরকারি এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় ওই প্রসূতি
মহিলাকে। এরপর এক পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার পর শারীরিক
অবস্থার অবনতি হয়।অবস্থার অবনতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে নদিয়ার
রানাঘাটে অন্য আরেকটি বেসরকারি নাসিং হোমে ভর্তি করা হলে তার মৃত্যু হয়, ও সেখান থেকে মৃতের পরিবারকে জানানো হয়, মৃত মহিলার
শরীরের একটি অঙ্গ সিজার করার সময় কাটা পড়েছে, তার ফলেই এই ঘটনা। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে ওই পরিবার। সিজার করার সময়
অঙ্গচ্ছেদ হওয়াকে চিকিৎসায় গাফিলতি বলে দাবি করেছে ওই পরিবার। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার
জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ‘‘নবদ্বীপের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমের ডাক্তারের
ভুল চিকিৎসার কারণে মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে বুধবার
রাত আনুমানিক নটা নাগাদ, নবদ্বীপের ঐ বেসরকারি নার্সিংহোমের সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান
পরিবার সহ আত্মীয়স্বজনেরা”। তাদের দাবি। ‘অবিলম্বে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ
এবং অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে সামনে এসে জবাব দিতে হবে যে কেন এ ধরনের ভুল চিকিৎসা হল
ও তাদের পরিবারের সদস্যের মৃত্যু হল। এছাড়াও তাদের দাবি, ‘সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের যথাযথ শাস্তি দিক
প্রশাসন’। যদিও এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নবদ্বীপ
থানার আইসি, সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী, পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।