নিউজ ডেস্ক: তিস্তার জলে ভেসে গিয়েছে ছাউনি, যানবাহন, এমনকি বেশ কয়েকজন সহকর্মীও। কিন্তু থেমে থাকলে চলবে না! দেশের প্রতি সর্বোপরি দেশবাসীর প্রতি দায়বদ্ধ তাঁরা। আর সেই বিষয়টি ফের একবার প্রমাণ করে দিল ভারতীয় সেনা।
হড়পা বানের জেরে ভেঙে গিয়েছে চুংথাম বাঁধের একাংশ। তিস্তা দিয়ে বয়ে গিয়েছে ৫১ লক্ষ কিউবিক মিটার জল। এই বিপুল জলরাশি পাহাড়ি এলাকা থেকে নীচের দিকে নামতে শুরু করে। সেইসঙ্গে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে দক্ষিণ লোনক হ্রদের দেওয়াল ফেটে বিপুল জলরাশি পাহাড় বেয়ে নীচে নেমে আসে। এই জল তিস্তায় এসে পড়ায় ১৫-২০ ফুট বেড়ে যায় জলস্তর। যার কারণে বিপর্যয় নেমে আসে সিকিমে। ভেসে যায় সেনা ছাউনি। সঙ্গে ভেসে যায় ২৩ জন জওয়ান।
বুধবার সন্ধায় উদ্ধার হয়েছেন একজন জওয়ান। বাকি ২২ জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ত্রিশক্তি কর্পসের জওয়ানরা। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির তিস্তার বিবেকানন্দ পল্লী এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে সেনা কর্মীর পোশাক। তিস্তা নদীর জলে পোশাক ও ব্যাগ ভেসে আসতে দেখেন বাসিন্দারা। পোশাকটি উদ্ধার করতে পারলেও ব্যাগটি উদ্ধার করা যায়নি। পোশাকটি নিখোঁজ জওয়ানদের মধ্যে কারও বলে অনুমান।
সিকিম ঘুরতে গিয়ে বন্যার কারণে আটকে পড়েন বহু পর্যটক। তবে পরিস্থিতি খানিক স্বাভাবিক হতেই পর্যটক, স্থানীয় বাসিন্দা সহ প্রায় ২৫০ জনকে উদ্ধার করেন ব্রক্ষ্মাস্ত্র কর্পসের জওয়ানরা। সিরওয়ানি স্কুলের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। সেইসঙ্গে চুংথাং, লাচুং এবং লাচেনে আটকে পড়া পর্যটকদের তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেন সেনা জওয়ানরা। ভারতীয় সেনার সাহায্য পেয়ে খুশি পর্যটকরা।