নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদের ঘটনায় দৃষ্টান্তমুলক সাজা ঘোষণা করল
সিবিআই আদালত। জাতীয় তীরন্দাজ তারা শাহদেওকে বলপূর্বক
ধর্মান্তকরণ ও নিপীড়নের মামলায় অভিযুক্ত রঞ্জিত
কোহলি ওরফে রকিবুল আকাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রকিবুলের মা কৌসর রানী ও চক্রান্তকারী
মুস্তাক আহমেদ দুজনেই যথাক্রমে ১৫ বছর ও ১০ বছরের কারাদণ্ডে
দণ্ডিত হয়েছে । দীর্ঘ আট বছর পর অবশেষে অপরাধীদের সাজা দিয়েছে
আদালত।
এই মামলায় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন
আসামী পক্ষের আইনজীবী মুখতার আহমেদ। তিনি বলেন, ” আমরা এই রায়ে খুশি নয়। আমরা উচ্চ আদালতে যাব”। প্রসঙ্গত ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই লাভ
জিহাদের শিকার হচ্ছেন অমুসলিম নারীরা। সম্প্রতি এই ঘটনা নিয়ে একটি সিনেমা তৈরি হয়য়
যাকে কেন্দ্র করে কম বিতর্ক হয়নি। কেন্দ্র সরকার লাভ জিহাদ ঠেকাতে আইন আনার
পরিকিল্পনা করছে। এমতাবস্থায় আদালতের রায়ে খুশি প্রাক্তন জাতীয় স্তরের খেলোয়ার
তারা শাহদেও। তিনি বলেন, ” এর পর যারা নির্দিষ্ট ভাবধারা নিয়ে এই জঘন্য কান্ড করতে যাবে তাঁরা একটু হলেও ভয় পাবে”।
জানা গেছে ৭ জুলাই ২০১৪ সালে তারা এবং রকিবুল বিয়ে করেন। বিয়ের
আগে তারাকে রকিবুল নিজের নাম রঞ্জিত সিং কোহলি
জানিয়েছিলেন। বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন রঞ্জিতের আসল নাম রকিবুল। বিয়ের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য রাকিবুল তারাকে চাপ
দিতে থাকে। পুলিশের কাছে দায়ের করা মামলায়, তারা শাহদেব
দাবি করেছেন ইসলাম গ্রহণ না করার কারণে তাকে টানা মানসিক
ও শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছিল। কুকুরকে
দিয়ে কামড় খাওয়ানো হয়েছিল। এই
মামলায় আইপিসি ১২০বি, ৩৭৬, ৩২৩, ২৯৮, ৫০৬, ৪৯৬ ধারায় রঞ্জিত কোহলি, কৌসর রানী এবং মুশতাক
আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। হাইকোর্টের
নির্দেশে সিবিআই ২০১৫ সালে
এই মামলাটি হাতে নেয়। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালে চার্জশিট
জমা দেয় সিবিআই। এর পর শুরু হয় শুনানি। জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করআর চেষ্টা করা হলে
দুষ্কৃতীদের মাথায় এই রায় ঘুরবে বলেছেন তারা।