নিউজ ডেস্ক: কামদুনিতে রাজারহাট খড়িবাড়ি রোড অবরোধ করে প্রতিবাদে গর্জে উঠলো এলাকাবাসী। কামদুনি জাগরণ মঞ্চ শামিল হল এই প্রতিবাদে। উপস্থিত ছিলেন রমলা চক্রবর্তী, শতরুপ ঘোষ,কৌস্তভ বাগচি, বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার, পীযুষ কানোরিয়া সহ বুদ্ধিজীবীরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে শুরু হয় অবরোধ।ফের ১০ বছর পর কামদুনি লড়াই নতুন করে শুরু করল কামদুনি বাসী। আদালতের এই রায়কে খুশি নয় কামদুনি। যেন ফের জেগে উঠছে কামদুনি। কামদুনির রায়ে অখুশি নির্যাতিতার
পরিবার ও আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মানুষ। প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এই ঘটনার প্রতি মনোভাবে অখুশি ছিলেন কামদুনির মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে ক্ষোভের
কথা জানিয়েছিলেন টুম্পা মৌসুমীরা। মামলা চলাকালীন বারংবার আইনজীবী বদল ও সরকারি আইনজীবী
ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।
মৌসুমি এদিন ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভকে বলেন, “ আঁচ করতে পেরেছিলাম
কেন বারংবার আইনজীবী বদল হচ্ছে। তবু আশা ছিল এই জঘন্য অপরাধ যারা করেছে এবং যারা মদত
করেছে তারা চরম শাস্তিটা পাবে। কিন্তু শেষ অবধি আমরা ঠকে গেলাম মনে হয়েছিল। আমরা থামব
না। আমাদের লড়াই চলবে। আমরা ফের পথে নামব। যত দিন না আমরা বিচার পাব ততদিন লড়ে যাব”। শুক্রবার নিম্ন আদালতের রায়
বদলে যায় উচ্চ আদালতে। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত
সইফুল আলি এবং আনসার আলির সাজা হিসেবে আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে, নিম্ন
আদালতে যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুল
ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্কর ১০ বছর জেল খেটে ফেলেছেন। সেই কারণে তাদের খালাস করে দেওয়া
হয় হাইকোর্ট থেকে। এর পরেই কান্নায় ভেঙে পড়ে মৌসুমি, টুম্পারা। তবে
আশার আলো কামদুনির রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য।
এই ঘটনাকে
নাটক আখ্যা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নির্যাতিতার পরিবারের পাশে
থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন,
“ আমার কথা হয়েছে ওদের সঙ্গে। ওদের আইনি সহযোগিতা করা হবে। দরকার হলে সুরক্ষার ব্যবস্থা
করা হবে”। এদিকে কামদুনির
রায়ে অখুশী বুদ্ধিজীবীরা। অভিনেতা কৌশিক সেন বলেন, “এই রায়ে আমরা খুশি নয়। আদালতের
বিরুদ্ধে কিছু বলছি না। তবে আমরা এই প্রতিনিয়ত কামদুনির পাশে থাকলে এই ঘটনা নাও ঘটতে
পারত”। প্রসঙ্গত
সরকারি কৌঁসুলির উপর ভরসা না রেখে নিজেরাই মামলার লড়ার চিন্তাভাবনা করছে কামদুনির প্রতিবাদীরা।
সরকারি পক্ষের আইনজীবী মামলা লড়লে কি হতে পারে তা ভালই টের পেয়েছে কামদুনির নির্যাতিতার
পরিবার ও প্রতিবাদীরা। পাশাপাশি এই শনিবার ফের কামদুনিতে আন্দোলন শুরু করে টুম্পা মৌসুমীরা।