নিউজ ডেস্ক: রবিবার সকালে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে সিবিআই। কলকাতার মেয়রের চেতলার বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফিরহাদের বাড়ি ঘিরে রাখে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দিন তিনেক আগে ৫ অক্টোবর খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে পৌঁছেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তারপরেই দেখা গেল তদন্তে নেমে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই।
রবিবার কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের কলকাতার ভবানীপুরের বাড়িতেও সিবিআই হানা দিয়েছে। বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। একইসঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের দক্ষিণেশ্বরের ফ্ল্যাটেও সিবিআই তল্লাশি চলছে।
এদিন রাজ্যের একাধিক জায়গায় হানা দেয় সিবিআই। এর মধ্যে রয়েছে নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃপ্তি মজুমদার। ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার পুরপ্রধান ও প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এদিন সকালে তৃপ্তি মজুমদারের নিউ ব্যারাকপুর খড়েরমাঠ বিল চত্বরের বাড়িতে সিবিআই পৌঁছে যায়। দমদম পুরসভার পুরপ্রধান হরেন্দ্র সিংয়ের বাড়িতেও চলছে সিবিআইয়ের অভিযান।
কৃষ্ণনগরেও পৌঁছে যায় সিবিআই এর প্রতিনিধিদল। কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ চার সদস্যের সিবিআই এর প্রতিনিধি দল অসীম সাহার শক্তিনগরের বাড়িতে পৌঁছয়। জানা গিয়েছে একযোগে বারোটি জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা হানা দিয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, অভিষেকের ধর্না থেকে চোখ ঘোরাতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে মাঠে নামানো হয়েছে। রাজভবনের সামনে বৃহস্পতিবার ধর্নায় বসেছেন অভিষেক। বিজেপির পাল্টা বক্তব্য, চোর ধরতে নেমেছে তদন্তকারীরা। প্রতিহিংসা হলে রাজ্যের মন্ত্রীর বান্ধবীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হত না। আবার অনুব্রত মণ্ডলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলত না।
পুরনিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সেই তদন্ত করছে।