নিউজ ডেস্ক: ছন্দে ফিরছে সিকিম। মেঘ সরে গিয়েছে পাহাড়ের উপরের আকাশ থেকে। আবহাওয়া ঠিক হতেই জোরকদমে উদ্ধারকাজ শুরু করল ভারতীয় সেনা। সোমবার সকাল থেকে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করা শুরু করল সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার। লাচেন থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করে মাঙ্গানের রিমঘিম হেলিপ্যাডে নিয়ে আনা হয় তাদের। অন্যদিকে, নিরাপদে হেলিপ্যাডে নামার পর ধন্যবাদ জানান সেনা জওয়ানদের।
গত সপ্তাহে লোনাক হ্রদ ফেটে হড়পা বানের কারণে বিপর্যয় নেমে আসে তিস্তা নদীতে। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশ। ঘুরতে গিয়ে লাচেন, লাচুং, চৌংথাং এলাকায় আটকে পড়েন প্রায় ২৮০০ পর্যটক। সিকিম সরকারের তরফে তাদের উদ্ধারের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও আবহাওয়া ঠিক না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে সোমবার সকালে আবহাওয়া ঠিক হতেই উদ্ধারকাজ শুরু করে সেনা, এনডিআরএফ এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতর। উদ্ধারকাজে নামানো হয় বায়ুসেনার MI 17 চপার এবং চিনুক হেলিকপ্টারগুলি। সেইসঙ্গে আটকে থাকা বাকিদের কাছে ওষুধ, খাবার সহ পৌঁছে দেওয়া হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস।
এদিকে সিকিম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বিপর্যয়ের কারণে সিকিমে এখনও পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের সংখ্যা ২৬। পাশাপাশি, এখনও পর্যন্ত ১০৫ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাদের খোঁজে জোরকদমে ত্রিশক্তি অভিযান চালাচ্ছে সেনা জওয়ানরা। তল্লাশি চালানো হচ্ছে নিখোঁজ জওয়ানদের জন্যও।
অন্যদিকে সিকিম সরকার জানিয়েছে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মোট ৮৫ হাজার ৮৭০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে রাজ্যের অন্তত ১,৭১৬টি বাড়ি। ২,৫৬৩ জন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে মোট ২,৭৬৪ জনকে। এই মুহূর্তে সিকিমে মোট ২৬টি ত্রাণশিবির খোলা রয়েছে। ওই ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন অন্তত ৬,৫০৫ জন মানুষ।