নিউজ ডেস্ক: ধর্ষকদের বাড়িতে পুলিশের সুরক্ষা মোতায়েন করা হয়েছে।
তাঁদের বাড়ির পাশে তৃণমূলের পতাকা লাগানো হয়েছে। আর যারা সুরক্ষা চেয়েছিল সেই নির্যাতিতার
পরিবার আশংকায় দিন কাটাচ্ছে। কামদুনির ঘটনায় সরাসরি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিরোধী
দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে অভিযুক্তরা বেকসুর খালাস হওয়ার পিছনে ভেড়ি রাজনীতির
প্রসঙ্গ টানলেন বিড়ধি দলনেতা। সুকুমার মিত্র নামে জনৈক ব্যক্তির অঙ্গুলিহেলনের অভিযোগ
করেন তিনি। ওই ব্যক্তি ওই অঞ্চলে ভেড়ির কারবার করেন বলে অভিযোগ। ভেড়ি নিয়ে যে দুর্নীতি
চলছে তা বন্ধ হবে হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার। এক্ষেত্রে অনুব্রত মন্ডল প্রসঙ্গ টানলেন
তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ” আইনের প্রতি আস্থা রয়েছে। কিন্তু সিআইডি যেভাবে বারংবার আইনজীবী বদল করে কেসটাকে দুর্বল করেছে তা অন্যায়। সকলে বুঝতে পারছে কি হয়েছে,কেন হয়েছে, কিভাবে হয়েছে। রাজ্য সরকার সকালে লোক দেখানো সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে আর বিকেলে অভিযুক্তদের ছেড়ে দিয়েছে। তাঁদের বাড়ির সামনে তৃণমূলের পতাকা। এই ভাঁওতাবাজি চলবে না”।
কামদুনি কাণ্ডে রায়ের পর মঙ্গলবার পথে নামেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী
ফাল্গুনী পাত্র। তার নেতৃত্বে বিজেপির মহিলা মোর্চার কয়েকহাজার কর্মী এদিন
পা মেলান ওই মিছিলে। সঙ্গে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও
অশোক দিন্দা। কামদুনি বাসস্ট্যান্ডে জমায়েত হয়ে সেখান থেকে শুরু হয় মিছিল।
অন্যদিকে ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে মেয়ো রোডে গান্ধী মুর্তির পাদদেশ
পর্যন্ত মিছিল করেন প্রতিবাদী টুম্পা কয়াল, মৌসুমি কয়াল, কৌস্তভ বাগচী সহ বামপন্থী
নেতৃবৃন্দ ও বুদ্ধিজীবীরা। কামদুনির রায়ে সিআইডির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ টুম্পা মৌসুমিরা। তাঁদের
দাবি সিআইডি সাক্ষী পর্বে নিষ্ক্রিয় ছিল। এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের হাজির করায়
নি সিআইডি। রায়ের নৈপথ্যে রাজ্য সরকার ও সিআইডির
ভূমিকায় চক্রান্তের তত্ব সামনে এনেছেন মৌসুমি। মূল সাক্ষী পুলিশের মারে আহত হয়। পরে
মারা যায়। জানা গিয়েছে চলতি সপ্তাহের মধ্যের সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্টের
আবেদনকে চ্যালঞ্জ করে মামলা করতে চলেছেন তারা। অন্যদিকে এই রায়ের পিছনে শুভেন্দু অধিকারীর
ভূমিকা খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।