নিউজ ডেস্ক: চার দিন ধরে একনাগাড়ে চলছে যুদ্ধ। কোথাও আকাশের মেঘ ভেদ করে ভেসে আসছে রকেট, তো কোথাও আকাশের দিকে কুন্ডুলি পাকিয়ে উঠে যাচ্ছে কালো ধোঁয়া। ক্রমাগত বিস্ফোরণ, বিমান হামলা ও বোমা হামলার মধ্যে উঠে আসছে মানুষের চিৎকারের ছবি। এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে ৯০০ জন ইজরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত ২৬০০ জনেরও বেশি। এককথায় প্যালেস্তাইনী জঙ্গি সংগঠন হামাসের আক্রমণে বিধ্বস্ত ইজরায়েল।
তবে এই অতর্কিত আক্রমণের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু। “ওরা যুদ্ধ শুরু করেছে, তবে শেষ করবে ইজরায়েল”, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। হামাসের নৃশংসতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে পশ্চিমী দেশগুলি। ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স।
ইজরায়েলিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন ভারতও। যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডেলে সেই বিষয়ে পোস্টও করেছেন তিনি।
হামাস বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে যখন ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্ব, তখন প্যালেস্তানীয়দের পাশে দাঁড়ালেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ‘প্যালেস্তানীয়দের অধিকার, স্বতন্ত্রতার’ পক্ষে সওয়াল করলেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা। তাদের দাবি, ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে সামনাসামনি বসে সংঘাতের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করুক ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন’।
কংগ্রেসের সুরেই সুর মিলিয়েছে বাম নেতৃত্বও। তাদের দাবি, আলোচনা ছাড়া কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। প্যালেস্তাইনবাসীর আত্মবিশ্বাস, সমমর্যাদা, আত্মগড়িমা অর্জনের ন্যায্য অধিকারকে ফেরাতে পারে শান্তিপূর্ণ আলোচনা। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ইজরায়েলের নিরাপত্তাজনিত স্বার্থকে মান্যতা দিতে হবে।
রাজনৈতিক মহলের দাবি,’২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোটকে পাখির চোখ করে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না দুই দল। আর সেকারণে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে গিয়ে নৃশংস জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস-এর পক্ষেই সওয়াল করেছে বাম-কংগ্রেস।