নিউজ ডেস্ক: কামদুনি মামলার রায়ে সন্তুষ্ট না হয়ে সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের করতে দিল্লির
উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন মৌসুমি কয়াল, টুম্পা কয়ালরা। তাঁদের সঙ্গে এদিন
ছিলেন বিজেপি নেতা শংকুদেব পণ্ডা। কলকাতা বিমানবন্দরে কামদুনি
আন্দোলনের প্রধান দুই মুখ মৌসুমী ও টুম্পা কয়ালরা জানান, “ বিচারব্যস্থা প্রতি
তাঁদের আস্থা রয়েছে। কিন্তু বিচারপ্রক্রিয়ার জটিলতরা আড়ালে তারা সুবিচার পাবেন কি না
তা নিয়ে তাঁদের সংশয় রয়েছে। নিম্ন আদালতের রায়ে তাঁরা সন্তুষ্ট ছিলেন। কিন্তু সেই রায়
উচ্চ আদালতে বহাল করা হয়নি সরকারের কৌঁসুলির গাফিলতিতে অভিযুক্তরা চারা পেয়েছে। দুই অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা বদলে গেছে
যাবজ্জীবনে।
প্রতিবাদীদের আইনী সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিজেপি। তাঁদের
পাশে দাঁড়িয়েছে বামপন্থীরা। কামদুনিতে লাগছে রাজনীতির রঙ। মৌসুমি কয়াল জানান, “যারা
আমাদের সাহায্য করবে তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমরা ঝান্ডা নিয়ে আন্দোলন করিনি।
বিজেপি আমাদের গ্রামে মিছিল করেছে। তাঁদের মিছিলে ঝাণ্ডা ছিল বলে আমরা যাই নি। আমরা
কলকাতায় ঝান্ডা ছাড়া মিছিল করেছি।
এদিন টুম্পা মৌসুমির সঙ্গে গেলেন নির্যাতিতার
দুই পরিবারের সদস্য। ছিলেন শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। বুধবার
সকালের বিমানে তারা দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গেই
দিল্লি গেলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা। দিল্লির
উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা জানান, “রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তত্ত্বাবধানে নির্যাতিতা পরিবার
যাতে সুবিচার পায় সেই উদ্দেশ্যে তাদের দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে প্রয়াত
বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ের সাথে আলোচনা করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব আলচনা
পর্ব সেরে মামলা দাখিল করা হবে”।