নিউজ ডেস্ক: লুকোচুরি খেলা হচ্ছে। রুজিরা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইডি হাজিরা প্রসঙ্গে বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ক্ষুব্ধ
বিরোধী দলনেতা বলেন, “ কখন তদন্তকারীরা বাড়ি যাচ্ছে। কখনও এরা সংস্থার দফতরে যাচ্ছে।
কখনও কোর্টে যাচ্ছে এরা। কোর্টের নির্দেশ মেনে চললে ভাল। তদন্তে সহযোগিতা করলে ভাল”।
প্রসঙ্গত বুধবার ইডি দফতরে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে তাঁকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা
ইডি। সেই সমনে সাড়া দিয়ে রুজিরা সিজিওতে আসবেন কি না তা
নিয়ে জল্পনা চলছিল। রুজিরার তরফে এ ব্যাপারে কিছু না জানানো হলেও বুধবার সকাল
থেকেই দেখা যায় সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ছয়লাপ বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। চতুর্দিক ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। নিয়ন্ত্রণ করা হয় গাড়ি চলাচলও। সকাল ১১:০৫ নাগাদ রুজিরা ইডি দপ্তরে হাজিরা দেন।
নিয়োগ মামলার তদন্তে এই প্রথম তলব করা হল
অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে। এর আগে তাঁকে ‘কয়লা পাচার মামলা’য় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও
এই প্রথম নিয়োগ মামলায় ডেকে পাঠানো হল অভিষেক-পত্নীকে। চার মাস আগেই তাঁকে কয়লা
পাচার মামলায় ডেকে পাঠানো হয়। গত বছর জুন মাসে
শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে ইডি দফতরে গিয়েছিলেন তিনি। কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক ও তাঁর
স্ত্রী রুজিরাকে বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। অতীতে ডায়মন্ড হারবারের
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীকে দিল্লিতেও তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী
সংস্থা। সমন পেয়ে দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু রাজধানীর
ইডি দফতরে হাজিরা দেননি রুজিরা। পরিবর্তে কলকাতার ইডির দফতরে হাজিরা দেন
অভিষেক-পত্নী।
কয়লা পাচার মামলায় দু’টি বিদেশি ব্যাঙ্ক
অ্যাকাউন্টের লেনদেন, একটি সংস্থার আর্থিক লেনদেনের
খতিয়ান এবং এক হিসাবরক্ষকের বয়ানের ভিত্তিতে রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রায়
সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির তদন্তকারীরা।