নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সুন্দরবন সংগঠনিক জেলার
ছাত্র-যুবর সভাপতিকে গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য
কাকদ্বীপে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, “দেবাশিস, তুই খুব বাড় বেড়েছিস, তুই গুলি খেয়ে মরবি।” পোস্টারে দেবাশিসকে উদ্দেশ্য করে আরও লেখা হয়েছে, “কাকদ্বীপে আর একটা
আবুজেল মোল্লার ঘটনা ঘটুক যদি না চাস তাহলে সাবধান হয়ে যা।”
উল্লেখ্য, এই আবুজেল
মোল্লা কাকদ্বীপ বিধানসভার নেতাজি গ্রাম পঞ্চায়েতের দীর্ঘদিনের অঞ্চল সভাপতি
ছিলেন। এমনকি তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১৬ সালে
তাঁকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পোস্টারে তৃণমূল
পঞ্চায়েত সমিতির তৎকালীন সভাপতি বুদ্ধদেব দাসের নাম উল্লেখ করে তাঁর করুণ পরিণতির
কথাও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুদ্ধদেব কাকদ্বীপ বিধানসভার রামকৃষ্ণ গ্রাম
পঞ্চায়েতে ২০১৩ থেকে ‘১৭ পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির
দায়িত্বে ছিলেন। আর্থিক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয় তাঁকে। ২০১৭ সালের
অক্টোবর মাসে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় তাঁর। পোস্টারে আরও লেখা হয়েছে,
“যদি বুদ্ধ অথবা আবুজেল মোল্লার মত তোর অবস্থা না চাস তবে এখনই
শুধরে যা।” অন্যদিকে পোস্টারে রয়েছে কাকদ্বীপ বিধানসভার বিধায়ক মন্টুরাম
পাখিরার নামও। তবে রীতিমত গুলি করে খুন করার হুমকির পোস্টার ঘিরে এখন আতঙ্কিত
ছাত্র -যুব সভাপতি। এ বিষয়ে হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের
করেছেন। পাশাপাশি দেবাশিসের স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেও পড়েছে
পোস্টার। বর্তমানে দেবাশিসের স্ত্রী রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। শাসক
তৃণমূল বিরোধী বিজেপির বিরুদ্ধেই পোস্টার ফেলার অভিযোগ তুলেছে। দেবাশিস দাসের
অভিযোগ, “এই কাজ বিজেপির”।
অন্যদিকে এই অভিযোগ খারিজ করে মথুরাপুর
সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক কৌশিক দাস জানান, “এই ঘটনা
তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ছাড়া আর কিছুই নয়”। তৃণমূল নেতার
প্রাণনাশের হুমকির এই পোস্টার ঘিরে রীতিমত সরগরম এলাকার রাজনীতি।