নিউজ ডেস্ক: দুনিয়ার যেকোনও প্রান্তে এবং যেকোনও আকারে সন্ত্রাসবাদ মানব সমাজের জন্য ক্ষতিকর। শুক্রবার দিল্লির জি২০ সংসদীয় স্পিকার সম্মেলনের(P20 Summit) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্যালেস্তাইনী জঙ্গি হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা আগেই দিয়েছিলেন তিনি। এবার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন মোদী।
সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে বিশ্বের সমস্ত দেশ সম্মত না হওয়ায় উষ্মাপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “এই সময় শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের বজায় রাখার সময়। সকলে মিলে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সময়।” মোদীর কথায়, বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে দ্বন্দ্ব এবং সংঘর্ষ সকলকে প্রভাবিত করে। আর এই সংঘর্ষের কারও কোনও উপকার হয় না। সুতরাং এই আবহে সকলকে মানবতার পক্ষে মনোভাব নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে সকলকে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এদিন ২০ বছর আগের ভারতের সংসদ ভবনে জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গে টেনে আনেন মোদী। জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের সম্মুখীন হচ্ছে ভারত। যার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। “বিশ্ব এখন বুঝতে পারছে সন্ত্রাসবাদ কত বড় চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাস যেখানেই ঘটুক, যেকারণেই ঘটুক, তা মানবতাবিরোধী। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সকলকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।”
প্রসঙ্গত, ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বহু বছরের। এই আবহে হামাস বাহিনীর অতর্কিত হামলার পরই সেদেশের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মোদী। শুধু তাই নয়, যুদ্ধপরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এদিন আরও একবার নিজের স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তা বলাই বাহুল্য।
অন্যদিকে, শুক্রবার সকালেই ২১২ জন ভারতীয় নাগরিককে নিয়ে দেশে ফিরেছে অপারেশন অজয়-এর প্রথম বিমান। তবে সেদেশে এখনও আটকে বহু ভারতীয়। যদিও তাঁদের দ্রুত দেশে ফেরাতে উদ্যোগী ভারত সরকার।