নিউজ ডেস্ক: আজ মহালয়া। এই দিন সকাল বেলা বাঙালির ঘুম ভাঙে রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহালয়া শুনে। পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে দেবীপক্ষ শুরু হল। গঙ্গায় তর্পণের জন্য ভোর থেকেই ভিড় জমেছে। মনে করা হয়, পূর্ব পুরুষরা এই দিন মর্ত্যে আসেন। তাঁদের জলদান করে আশীর্বাদ গ্রহণ করেন সকলে। তবে গঙ্গাপাড়ের এই ভিড় শুধু তর্পণের জন্য নয় বরং কুমোরটুলি থেকে ঠাকুর নিয়ে যেতেও ভিড় জমিয়েছিলেন বিভিন্ন পুজো কর্তারা।
প্রতিবছর এইদিন থেকেই কুমারটুলি থেকে পূজামন্ডপগুলির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় দুর্গা প্রতিমা। এইবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সকাল থেকেই পুজা উদ্যোক্তাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। মহাসমারোহে মায়ের মূর্তি নিয়ে রওনা দেয় বিভিন্ন পুজো কমিটি। সারি বেধে বিভিন্ন ধরণের প্রতিমা এই দিন কুমোরটুলির আঙিনা ছাড়িয়ে মন্ডপের উদ্যেশ্যে পাড়ি জমায়। মায়ের ভুবনমোহিনী রূপে রাঙা হয়ে ওঠে চারদিক। তবে সেই রূপে মোহিত হওয়ার উপায় থাকে না বেশ কিছু মানুষের। সমাজে তাঁদের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। কিন্তু তাঁদের তুলির টানেই এবার মায়ের চক্ষুদান হয়েছে কুমোরটুলিতে।
মহালয়ার সকালে কুমোরটুলি সর্বজনীন দুর্গাপুজা মণ্ডপে উপস্থিত হয়েছেন দশ জন দৃষ্টিহীন। চোখের দৃষ্টি নেই, কিন্তু মনের আলোয় মা দুর্গার চক্ষুদান করছেন তাঁরা। পাশাপাশি,দুর্গাকে নিজেদের মনের রঙে, উপলব্ধিতে আবাহন করেছেন সকলে। চক্ষুদানের পাশাপাশি মন্ডপে চক্ষুদান নিয়ে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছিল কুমোরটুলি সর্বজনীন দুর্গ্যোৎসব কমিটি। সমাজের দৃষ্টিহীনদের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও লড়াইকে কুর্নিশ জানাতেই তাঁদের এই অভিনব উদ্যোগ।