নিউজ ডেস্ক: বাকিবুর রহমান প্রাক্তন
খাদ্রমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ। তাঁকে জমি পাইয়ে দিয়েছেন হিডকো। সব ফাঁস
হবে। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও আমলা দেবাশীষ সেনকে তৈরি থাকতে বললেন বললেন বিরোধী
দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ” বাকিবুর তৃণমূলের লোক। ওর সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সখ্যাতা ছিল। বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের আপ্তসহায়ক বাপির পরিচয় আছে। ওকে নিউটাউনে জমি পেতে সাহায্য করেছে ফিরহাদ হাকিম ও দেবাশীষ সেন। সব ফাঁস করে দেব। একটু সময় দিন”।
প্রসঙ্গত উত্তর
২৪ পরগনার দেগঙ্গার বাসিন্দা বাকিবুর রহমান। তাঁকে ইতিমধ্যেই
গ্রেফতার করেছে ইডি। অভিযোগ রাজ্যের এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার সুবাদে কম
দামে ন্যায্য মূল্যের ধান কিনে তা বেশি দামে সরকারকে বিক্রি করতেন বাকিবুর। বহু
সময়ে ভিন্ রাজ্য থেকে নিম্নমানের চাল এনে তা সরকারকে গছিয়ে দিতেন এবং এ রাজ্যের
চাষিদের ধান থেকে ভাঙানো চাল সরকারের ঘরে পাঠানোর বদলে বিক্রি করতেন খোলা বাজারে। এই চক্রের পিছনে কোনও বড় মাপের প্রভাবশালীর হাত আছে কি না, খতিয়ে দেখছে ইডি। বাকিবুরের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। সূত্রের খবর বাকিবুরের পাঁচটি
চালকল, বেশ কয়েকটি আটাকল, চিনার
পার্কে ও বেঙ্গালুরুতে
হোটেল, এ
ছাড়াও একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট এবং কয়েকটি
দামি বিদেশি গাড়ি রয়েছে। তদন্তকারীরা
খতিয়ে দেখাছেন কিভাবে সরকারী ধান কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির কয়েক বছরেরই কিভাবে
এত প্রভাবশালী হয়ে উঠলেন। তদন্তকারীদের
সন্দেহ, আরও কিছু সম্পত্তি বেনামে থাকতে পারে। সেগুলির খোঁজ
চলছে। বাকিবুর যে নিকটাত্মীয়দের নামে টাকা সরিয়েছেন, তার
প্রমাণ এক আত্মীয়ের বয়ানে মিলেছে বলেও ইডি সূত্রে দাবি। তদন্তকারীদের সূত্রে আরও
দাবি, বাকিবুর নিয়মিত দুবাই যাতায়াত করতেন। তারও প্রমাণ হাতে
এসেছে। রেশন দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে কি না, তা-ও
খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রের দাবি। যদিও গ্রেফতার হওয়ার পরে বাকিবুরের
সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি, তিনি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত
নন।
জানা গেছে মামাবাড়ির সূত্রে তিনি চালকলের মালিক হয়েছিলেন এবং সেই পুরনো চালকলে নতুন
যন্ত্রপাতি বসিয়ে ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি করেন। ক্রমে চালকলের পাশাপাশি আটাকলও তৈরি
করেন। রাজ্যে পালাবদলের পরেও বর্তমান সরকারের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর ‘অতি ঘনিষ্ঠ’
হিসাবে পরিচিত ছিলেন বাকিবুর। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার
বহু চালকলে রীতিমতো রেশন দুর্নীতির ‘সিন্ডিকেট’ চলেছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। প্রথমবার
খাদ্য দুর্নীতি মামলায় ১১ অক্টোবর একযোগে ৮ জায়গায় ইডির
হানা। কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলার একাধিক রাইস মিলে চলে
তল্লাশি। তার আগেই খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সেখান থেকেই বেশ কয়েকটি সূত্র হাতে লাগে তদন্তকারীদের।