নিউজ ডেস্ক: ১৭ বছর আগে আতঙ্কে কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। নয়ডার সেই কুখ্যাত নিঠারি হত্যা মামলার মূল দোষীদের বেকসুর ঘোষণা করল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। সেইসঙ্গে নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায়ও রদ করে দিল উচ্চ আদালত। ২০০৫-২০০৬ সালে নয়ডার গণহত্যার মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন সুরিন্দর কোলি এবং মনিন্দর সিং পান্ধের। সোমবার রায়ের সময় সুরিন্দরকে মোট ১২টি এবং মনিন্দরকে ২টি মামলা থেকে অব্যাহতি দিল হাই কোর্ট।
২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে উত্তর প্রদেশের নয়ডায় মনিন্দর সিং পান্ধেরের বাড়ির সামনের ড্রেন থেকে মানুষের একটি খুলি উদ্ধার হয়। এরপরই গোটা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি সামনে আসে। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাড়ি ও আশেপাশের জায়গা থেকে একাধিক দেহাবশেষ উদ্ধার করে। তদন্তে জানা যায়, ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যেই একাধিক খুন করেছিল পান্ধের। হত্যাকাণ্ডে তাঁকে সাহায্য করেছিল বাড়ির পরিচারক সুরিন্দর কোলি।
অভিযোগ, সুরিন্দর ও মনিন্দর শিশু ও যুবতীদের অপহরণ করে আনত। ধর্ষণ ও পরে তাদের খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিত। এমনকি, মৃতদের দেহাংশ সেদ্ধ করে খাওয়া হতো বলে উঠে আসে সিবিআই তদন্তে। মোট ১১টি শিশু ও ৫ যুবতীকে খুন করেছিল এরা।
অভিযুক্ত সুরিন্দর কোলির বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ, খুন ও প্রমাণ লোপাট করা সহ মোট ১৬টি অভিযোগ দায়ের করে সিবিআই। অন্যদিকে, অভিযুক্ত মনিন্দর সিং পান্ধেরের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ আনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই আদালত এই দুজনের নৃশংস অপরাধের তীব্রতা বিচার করে দোষী সাব্যস্তের পাশাপাশি ফাঁসির সাজা শোনায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্টে যায় দোষীরা। গত মাসে ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি শেষ করে রায়দান স্থগিত রেখেছিল। সোমবার ‘দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে’ তাদের সাজা খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট।