নিউজ ডেস্ক: মা দুর্গা তিন হাজার বছর ধরে এখানে পূজিত হন গর্ভেশ্বরী রূপে। তার নেই দশভূজা। কষ্টিপাথরের মুর্তিতে এই মায়ের আরেক
নাম ভ্রামরী। পুরাণ উল্লেখ আছে সতীর বামপদ পতিত হয়েছিল এখানে। এই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ভ্রামরী। দুর্গার আরেক রূপ। রয়েছে তার মন্দিরও। জলপাইগুড়ির সাতকুড়ায়
ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ত্রিস্রোতা মহাপীঠে প্রতি বছর দশপ্রহরণধারী রূপে
বিশেষ পুজো হয় চতুর্ভুজা গর্ভেশ্বরীর।
জানা যায় প্রায় তিন হাজার বছর আগে মৎস
রাজ্যের রাজা বিরাটের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিল এই পুজো। পরে পনেরোশো শতক থেকে
বৈকুন্ঠপুর রাজএস্টেটের আনুকূল্য লাভ করে। এই ভ্রামরীদেবীর মন্দিরকেই ৫১ পীঠের এক
পীঠ বলে দাবি মন্দির কমিটির। এই বছর চতুর্ভুজা গর্ভেশ্বরী কে মা দুর্গা রূপে পুজোর
আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে মন্দিরে। পুজোর চারদিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের
মানুষের পাশাপাশি এবার ও বাংলাদেশ থেকে বহু পর্যটক পুজো দেখতে আসবেন বলে জানিয়েছে মন্দির কমিটি।
২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক সীমারেখার জট
কাটিয়ে নতুনভাবে পথচলা শুরু হয় এই মন্দিরের। একসময় বৈকুন্ঠপুর রাজএস্টেটের
পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিল এই মন্দির। রাজপরিবারের তরফে ৪৪৬ একর জমি দেবোত্তর করা
হয়েছিল। এই মন্দিরে আমিষ ভোগ হয় না। বলি প্রথাও নেই। কেউ মানত করলে উৎসর্গ করে
ছেড়ে দেওয়া হয়।