নিউজ ডেস্ক: শাস্ত্র মতে প্রাচীন ধর্মীয় রীতিনীতি কে বজায় রেখে হোম যজ্ঞের মধ্যে দিয়ে শুভ সূচনা হলো নদিয়ার রাজা মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের রাজবাড়ির প্রাঙ্গনে দেবী দুর্গার আরাধনা। টানা নয় দিন ধরে এই যজ্ঞ চলে রাজবাড়িতে। সকাল থেকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে দেবী আরাধনার সূচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন রাজ পরিবারের সদস্যরা। রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের আমল থেকেই কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে দেবী দুর্গা মহামায়া রূপে পূজিতা হয়ে আসছেন।
মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আমলে কামান দেগে পুজোর সূচনা হত। তবে কালের বদলের সঙ্গে বিলুপ্তি ঘটেছে কামান দাগার প্রথার। বর্তমানে আইনি ঘেরাটোপের মধ্যে পড়ে কামান দাগার প্রথা বন্ধ হয়েছে। কামান দাগার লোকও পাওয়া যায় না, যে এই কাজে পটু। যদিও নিয়ম মেনে রাজবাড়ির প্রাঙ্গনে নির্মাণ হয় মা দুর্গার প্রতিমা। আধুনিকতাকে দূরে সরিয়ে প্রাচীন রীতিকে বজায় রেখে আজও প্রতিবছর বেয়ারাদের কাঁধে চেপে রাজ বাড়ির দিঘীতে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজবাড়িতে যুদ্ধবেশী মা মহামায়ার পুজো করা হয়। শাক্যমতে পুজো হওয়ায় বলিপ্রথাও ছিল এককালে। যদিও এখন সেসব বন্ধ হয়ে আখ, কলা ও চালকুমড়ো বলি হয়। দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর কৃষ্ণনগরে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজভবনে দুর্গাপুজো দেখতে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়া দূর দুরান্ত থেকে বহু মানুষের সমাগম ঘটে। বনেদি বাড়ির পুজো এমনিতেই আকর্ষণীয়। সেই আকর্ষণে আলাদা মাত্রা যোগ করে কৃষ্ণচন্দ্রের রাজত্বের ইতিহাস।