নিউজ ডেস্ক: বিসর্জনে চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ! তা অগ্রসর হতে পারে উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে। ফলে বাংলায় বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। সঙ্গে উপকূলের জেলাগুলিতে দশমীর পরও দুর্যোগ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে স্বস্তির বিষয়, রবিবার পর্যন্ত পরিষ্কার থাকবে আবহাওয়া।
পুজোর মধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপটি উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে নবমীর দিন তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
লাক্ষাদ্বীপ ও সংলগ্ন কেরালা উপকূলে যে ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছিল তা নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব মধ্য আরবসাগরে তা আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং তা পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। আরব সাগর পেরিয়ে ওমানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পুজোর সময় কবে কবে বৃষ্টি?
পুজোয় দক্ষিণবঙ্গে অষ্টমীর দিন পর্যন্ত ঝলমলে থাকবে আকাশ। নবমীর দিন থেকে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের পরোক্ষ প্রভাব বাংলায় পড়তে চলেছে। সোম এবং মঙ্গলবার অর্থাৎ নবমী এবং দশমীর দিনে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলি যেমন কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার থেকেই শহর কলকাতায় হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ থাকবে মেঘলা। নবমীর দিন বিকেলে বা রাতে এবং দশমীর দিন কয়েক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে অষ্টমী পর্যন্ত মেঘমুক্ত থাকবে আকাশ। উত্তুরে হাওয়া প্রভাব বিস্তার করবে। ধীরে ধীরে কমবে তাপমাত্রা। শীত শীত ভাব অনুভূত হবে। ষষ্ঠীর দিন শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.২ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৮৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪৫ শতাংশ।