নিউজ ডেস্ক: প্রথা মেনেই মহাষ্টমীর দিন, রবিবার সকালে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো শুরু হলো। মহাষ্টমীর সকালে প্রথমে অষ্টমী বিহিত পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল নটা নাগাদ শুরু হয় কুমারী পুজো। কুমারী পুজো দেখতে মঠে হাজির হন বহু মানুষ। স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০১ সালে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো শুরু করেছিলেন।
স্বামী বিবেকানন্দের প্রচলিত সেই রীতি মেনেই বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরা মহাষ্টমীর দিন কুমারীকে দেবী হিসেবে উপাসনা করেন। শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ ঠাকুরের মতে, অল্পবয়সী মেয়েরা যখন কুমারী থাকে সেই বয়সে জগতের নেতিবাচক শক্তি থেকে তারা দূরে থাকেন। তখনই তাদের মধ্যে মাতৃভাবনা প্রকাশ পায়। ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী বালিকাকেই কুমারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়ে থাকে।
প্রতিমাকে জীবন্ত বিগ্রহরূপে পুজো করা হয় এইদিন। সকালে কুমারী পুজোয় উপস্থিত ছিলেন মঠের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসীরা। চলতি বছরে কুমারীকে উমা রূপে পূজা করা হচ্ছে। এছাড়াও মহাষ্টমীর দিনে বেলুরমঠে আগত দর্শনার্থীদের জন্য খিচুড়ি ভোগের ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় তিরিশ হাজার মানুষের জন্য খিচুড়ি ভোগের রান্না হয় বেলুড় মঠের প্রঙ্গণে।