নিউজ ডেস্ক: মায়ের হাতে মায়ের পুজো! এবার মালদহের
বামনগোলা ব্লকে পাকুয়াহাট এলাকায় রায় বাড়ির দুর্গাপুজোয় এবার দেখা গিয়েছে মহিলা
পুরোহিতকে পুজো করতে। এবছর বাংলায় প্রথম কোন মহিলা পন্ডিত দ্বারা দুর্গাপুজো সম্পূর্ণ হচ্ছে। ষষ্ঠী ও সপ্তমী অতিক্রম করে অষ্টমীর পুজো হল মহিলা পন্ডিত দ্বারা। দেবীর হাতে অশুভ শক্তি বিনাশ হয়।
উদ্যোক্তারা জানালেন এ যেন নারীশক্তির জয়গান।
প্রতিবছর নিয়ম মেনে পুজো- হয়ে থাকে। তবে এবার যা হল তা নজিরবিহীন বিরল ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। অতীতে বৈদিক যুগে
এর চল থাকলেও বর্তমানে তা দেখা যায় না। এই অঞ্চলে প্রথমবার কোন
মহিলা পুরোহিত পুজো করলেন বলে জানা গিয়েছে। রায় বাড়ির দুই
মহিলা পুরোহিত পুজো করছেন এবার। ভারত সেবা আশ্রমের নটরাজ
নামক একটি সংস্থার হাত ধরে দুর্গা পুজোয় পৌরহিত্যের হাত ধরে
নারী জাগরণের সূচনা!
জানা গিয়েছে, গত
বছর পুজোর অভিজ্ঞ পুরুষ পুরোহিত পুজো করেছিলেন। এই বছর তিনি অন্য কোন জায়গায় পুজো করছেন। তাই পরিবারের তরফে
মহিলা পুরোহিত দিয়ে পুজো করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বর্তমানে, বাঙালি বিয়েতে মহিলা পুরোহিতের চল শুরু হয়েছে।
বিষয়টি যেমন অভিনব তেমন নারীর অধিকার ও ক্ষমতারও বিকাশ ঘটেছে। এবারের দুর্গাপুজোয়
মহিলা পুরোহিতে পুজো ঘিরে উৎসাহ বেশ চোখে পরার মত। রায় পরিবারের তরফে শুক্লা বিশ্বাস
রায় জানিয়েছেন দুই মহিলা সীমা হালদার বাইন, ও টুম্পা রানী
মন্ডল এই দুই মহিলাই হলেন শাস্ত্রে পণ্ডিত। তার বাড়ির এই
পুজো সমস্ত নিয়ম মেনে হচ্ছে। তারা মহিলা পুরোহিত পেয়ে খুব
খুশি। আগামীতে এই মহিলা পুরোহিতরা আরো বড় জায়গায় এগিয়ে যাক
এটাই কামনা এলাকাবাসীর। প্রতিটি মহিলাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে
প্রতিষ্ঠিত, কেউ অধ্যাপিকা, কেউ আবার
দেবীর উপাসক। তিনি আরো বলেন নারী হওয়ায়
পুজোর করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এমন ভাবাটা এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে তা শোভা
পায় না। মহিলারা কি গৃহস্থ ও পুজোর নানান অনুষ্ঠানে সবরকম ব্যবস্থা করেন না?
দেবী হিসেবে যাঁকে পুজো করছি, তিনিও একজন
নারী।